জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কিছু করণীয় নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ (এনআইডি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে নিয়ে গেলে আমরা কী করবো? আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা। আমরা এনআইডি নিয়ে মাথা ঘামাবো না।’
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) রাজধানীর নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এর আগের দিন সোমবার নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) অনুবিভাগ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কিছু করার নেই। বিষয়টি বর্তমান ইসির সময়ে ঘটেনি, যা কিছু ঘটার আগেই ঘটে গেছে।
মঙ্গলবার এনআইডি সম্পর্কে সিইসি বলেন, ‘কে বললো? আইন তো এখনও হয়নি। নীতিগত অনুমোদন হয়েছে। এনআইডি চলে গেলে তো আমাদের ব্যাপার নয়। এটা রাষ্ট্র, সরকার এবং পার্লামেন্টের বিষয়। এখানে আমরা কী করবো? কাজেই এটা নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনার কোনও কারণ নেই। এটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন করা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচনের দিকে মনোযোগ দেবো। আমাদের কাছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা থাকবে। আমরা ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করবো। এনআইডি নিয়ে আমরা মাথা ঘামাবো না।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এনআইডি আমাদের বিষয় নয়। এনআইডি এখানে থাকুক, সরকারের কাছে যাক, সেটা হচ্ছে ওদের ওয়ার্ক। আমাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য ভোটার তালিকা শুদ্ধ আছে কিনা, যদি ইভিএমে ভোট হয়—আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোট দিতে পারবে কিনা, এগুলো আমাদের বিষয়।’
তিনি বলেন, ‘ভোটার তালিকার সঙ্গে এনআইডির সংযোগের কোনও প্রয়োজন নেই। আমাদের ভোটার তালিকার বাই প্রোডাক্ট হচ্ছে এনআইডি। এনআইডির বাই প্রোডাক্ট কিন্তু ভোটার তালিকা নয়। আমি নিউজে পড়লাম, যে শিশুটির জন্ম হবে সেও এনআইডি পাবে। এখন সরকার যদি একটা উদ্যোগ নিয়ে থাকে, সেখানে আমাদের প্রশংসা করা দরকার। এখন নির্বাচনটা যদি নিয়ে যেতে চায়, যে নির্বাচনটা অন্য কেউ করবে, তখন আমি কথা বলবো। এনআইডি যদি চলে যায়, এতে নির্বাচন প্রসেস যদি বিঘ্নিত হয়, তখন আমরা দেখবো।’
২০০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন করে নির্বাচন কমিশন। যার ভিত্তিতেই নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে ইসির কাছে সংরক্ষিত এনআইডি সার্ভার থেকে সরকারি-বেসরকারি ১৬৪টির মতো প্রতিষ্ঠান ব্যক্তির পরিচিতি শনাক্ত করে নিচ্ছে।