X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট

কাজে গতি এলেও ‘বড় গবেষণাটি নিখোঁজ’

মাহফুজ সাদি
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:০০আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৩০

রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। বিশ্বমানের সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে গড়ে তোলা হয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিষ্ঠার একযুগ পরেও বড় পরিকাঠামো ও জনবল কাঠামো নিয়েও গবেষণার ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে পারছে না। এমনকি ২০১৩ সালে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর ভাষার ওপর ‘নৃ-ভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ চালানো হয়। প্রায় চার বছর ধরে চলা বড় এই সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়নি এখনও। তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘মুজিববর্ষে গবেষণামূলক কাজে গতি এসেছে। নেওয়া হয়েছে নতুন কিছু উদ্যোগও।’ ‘সেটা যথেষ্ট নয়’, তা স্বীকার করে নিয়েই কাজের পরিধি বাড়ানোর পরিকল্পনার কথাও বলেছেন তারা। 

১৯৫২ সালে মহান ভাষা আন্দোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ‘২১ ফেব্রুয়ারি’-কে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে ইউনেস্কো। ১৯৯৯ সালের ৭ ডিসেম্বর এক জনসভায় ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট স্থাপনের ঘোষণা দেন তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সেগুনবাগিচায় জাতিসংঘের ওই সময়ের মহাসচিব কফি এ আনানের উপস্থিতিতে এই ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০০১ সালের ১৫ মার্চ। পরে ২০১০ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাতৃভাষার চর্চা, সংরক্ষণ ও বিকাশের জন্য বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য ২০১৫ সালে ইউনেস্কোর ক্যাটাগরি-২ প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা লাভ করে এটি।

ইনস্টিটিউটের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও ক্ষুদ্র জাতির ভাষা সংগ্রহ, সংরক্ষণসহ প্রয়োজনীয় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা এবং বাংলাসহ অন্যান্য ভাষা আন্দোলনের তথ্যসংগ্রহ ও গবেষণা এবং ইউনেস্কোর সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এ সংক্রান্ত তথ্য পৌঁছে দেওয়া। এ ক্ষেত্রে গত একযুগেও প্রতিষ্ঠানটি উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের দুই জন অধ্যাপক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট এক যুগেরও বেশি সময় আগে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানে কেবল বাংলা ভাষা নয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন দেশের ভাষা নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করার কথা। কিন্তু তারা বিভিন্ন দিবস পালন, সেমিনার, পদক প্রদান, প্রশিক্ষণ, স্মরণিকা ও নিউজলেটারের মতো রুটিন কাজ করছে। গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজ দেখা যাচ্ছে না। এমনকি ‘নৃ-ভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করা হলেও সেটি বই আকারে প্রকাশ করা হয়নি এখনও। তারা ভারতের দিল্লির একটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ভাষা নিয়ে ভালো কাজ করছে, তারা পারলে মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট কেন পারছে না সেই প্রশ্নও তোলেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন ভাষার জনগোষ্ঠীর ভাষার ওপর ‘নৃ-ভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা’ করা হয় ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে করা এই সমীক্ষার একটি খণ্ডের কাজ শেষ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে বই আকারে প্রকাশিত হয়। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ১০ খণ্ড করে বই আকারে প্রকাশ করা কবে সম্ভব হবে, তাও বলতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেবল বাংলা নয়, বিলুপ্তির পথে থাকা ভাষা, সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করার কথা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের। যাতে এসব ভাষাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যায়, পুনরুজ্জীবিত করা যায়। এ ক্ষেত্রে একটি বড় কাজ হয়েছে নৃ-ভাষা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষা। কিন্তু এত বছরেও সেটি প্রকাশ করা হয়নি কেন?’

সমীক্ষাটি দ্রুত বই আকারে প্রকাশ করা জরুরি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ভাষা গবেষকদের সহায়তা করবে এই কাজটি। বিপন্ন এবং বিপন্নের পথে থাকা ভাষাগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। আমরা জানি, এরইমধ্যে ১৪টি ভাষা বিলুপ্তির ঝুঁকিতে রয়েছে, সেগুলার যাতে মৃত্যু না ঘটে, উজ্জীবিত করা যায়, কোন ভাষার কী অবস্থা; এসব বিষয়ে আমাদের জানতে হবে।’

জানতে চাইলে সমীক্ষাটির কোনও খোঁজ জানাতে পারেননি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, যারা এই প্রকল্পে কাজ করেছেন, তারা এখন দায়িত্বে নেই। পুরনো কর্মকর্তারা চলে যাচ্ছেন, নতুন কর্মকর্তা আসছেন। এসব কারণে কাজটি কী অবস্থায় আছে, তাও জানা নেই তাদের। কাজটি কোথায় আছে, কোন পর্যায়ে আছে, কবে প্রকাশ করা সম্ভব হবে; এসব বিষয়ে জানা নেই। মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। ছবি: নাসিরুল ইসলাম

প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক (প্রকাশনা ও গবেষণা পরিকল্পনা) নিগার সুলতানা অবশ্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, তারা ভাষা গবেষণা নিয়ে অনেকগুলা কাজ করেছেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের নিয়েও কাজ হয়েছে। কিন্তু তাদের ভাষা গবেষণা নিয়ে কাজ হয়নি, তাদের ভাষায় অনুবাদের কাজ হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ অনুবাদ হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীর অনুবাদ হচ্ছে। সমীক্ষার কাজ কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা আমাদের পরবর্তী মিটিংয়ের পর বলতে পারবো।

তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, আগে তাদের কাজের ক্ষেত্রে ধীর গতি থাকলেও মুজিববর্ষে, বিশেষ করে করোনার পরে গতি বেড়েছে। গবেষণায় তেমন বরাদ্দের সীমাবদ্ধতার কারণে এতদিন অনেক কাজ ঝুলে ছিল। সেগুলো দ্রুত সমাপ্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নতুন করে অনুবাদ শাখা চালু করা হয়েছে, সেখানেও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় অনুবাদের কাজ চলছে। আরও বেশ কিছু কাজ চলমান রয়েছে, যা দুই-এক বছরের মধ্যে শেষ হবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের উপপরিচালক (প্রচার, তথ্য ও যোগাযোগ) মো. মিজানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রেগুলার কাজ হিসেবে বিভিন্ন জাতীয় দিবস পালন, বিশেষভাবে ৪ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক প্রদান (২টি করে ৪টি, একবছর অন্তর), প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, ভাষার ওপর সেমিনার, স্মরণিকা ও নিউজলেটার প্রকাশসহ নানা কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এবার ভাষা মেলার আয়োজন করা হয়েছে, সেটিও নতুন সংযোজন।

গবেষণার বিষয়ে তিনি বলেন, একটি নীতিমালা হয়েছে, যা বাস্তবায়নে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে বাংলা ভাষা, বিলুপ্ত প্রায় ভাষা, বেঁচে থাকা বিভিন্ন ভাষা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ভাষা নিয়ে কাজ চলমান রয়েছে। গবেষণায় এমফিল, পিএইচডির ক্ষেত্রে পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এর বাইরে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী ছয়টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় অনুবাদ হচ্ছে, যার মধ্যে দুটি প্রিন্ট হয়েছে। ভাষাগুলো হলো- চাকমা, মারমা, গাড়ো, ককবরক, সদরি ও কুরমালি।

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের প্রকাশনা সূচিতে দেখা যায়, মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ চাকমা, মারমা, সাদরি ও ককবরক ভাষায় আলাদা অনুবাদ হয় ২০২০ সালে। একই বছর মাতৃভাষা পত্রিকার বঙ্গবন্ধু সংখ্যা, ২০২১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এবং বঙ্গবন্ধুর মাতৃভাষা বিষয়ক ভাষণ ও নির্বাচিত রচনা ব্রেইল লিখন-বিধিতে প্রকাশ করা হয়। ২০১২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৫টি প্রকাশনা রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ইশারা ভাষায় উপস্থানার ডিভিডি, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনর ভাষণ ব্রেইল লিখন-বিধিতে প্রকাশ ও ইশারা ভাষায় উপস্থাপনার ডিভিডি, ৭ মার্চের ভাষণা আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় লিপ্যন্তর, চাকমা, মারমা, গারো, সাদরি, ককবরক ভাষায় প্রকাশ, ভাষণটি এবং নির্বাচিত রচনা ব্রেইল লিখন-বিধিতে প্রকাশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ভালোবাসি মাতৃভাষা’ লেখাটি ব্রেইল লিখন-বিধিতে প্রকাশ, লিথুনিয়র ইতিহাস, মৌলভীবাজারের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীয় ভাষা পরিচিতি, ভাষা ও ভাষা প্রসঙ্গ বই আছে।

এ ছাড়া গত ১০ বছরে একুশের স্মরণিকা ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ১৬টি, মাতৃভাষা বার্তা নিউজলেটার ১৮টি, মাতৃভাষা পত্রিকা ছয়টি, মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ পাঁচটি, বাংলা ভাষা ব্যবহারের বিষয়ে কিছু প্রশিক্ষণ এবং আটটি উপভাষাভিত্তিক কর্মশালার তথ্য মিলেছে।

কর্মকর্তারা জানান, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ১৫টি ভাষার ওপর পকেট অভিধান করা হচ্ছে। যা প্রবাসী বাংলাদেশি, শিক্ষার্থী ও ভ্রমণকারীদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে। পাঁচ খণ্ডে মাতৃভাষা পিডিয়া করা হচ্ছে। তাতে বিভিন্ন ভাষার উৎপত্তি, ক্রমবিকাশসহ ইতিবৃত্ত স্থান পাবে। এ ছাড়া বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি ডকুমেন্টারিও করা হচ্ছে। গবেষণাকাজ এগিয়ে নিতে বঙ্গবন্ধু ট্রাস্ট তহবিলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের নতুন মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের নতুন মহাপরিচালক প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত একযুগে অনেক নেগেটিভ খবর সামনে এসেছে। এখন থেকে আমরা ইতিবাচক খবরের শিরোনাম হতে চাই। সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে আরও বেশি কার্যকর করতে নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রেগুলার প্রোগ্রামের বাইরেও ভাষা সংক্রান্ত বেশ কিছু কাজ করেছি এবং করছি বটে।

যেসব কাজ করা হচ্ছে, তার একটি বর্ণনাও দেন গেলো বছরের এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্ব নেওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক। তার তালিকা অনুযায়ী- চার খণ্ড বইয়ে ১৬টি ভাষার ‘বহুভাষী পকেট অভিধান’, বেদেদের ‘ঠার ভাষা’র ওপর একটি অভিধান, ডোমদের ভাষা নিয়ে কাজ চলছে। নতুন করে অনুবাদ শাখা করা হয়েছে। এখান থেকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী দেশের ছয়টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে। বাংলা ও ইংরেজিতে আলাদাভাবে পাঁচ খণ্ড করে মাতৃভাষা পিডিয়া করা হচ্ছে, যা এক বছরের মধ্যে প্রকাশিত হবে। এর মধ্যে অনেকগুলো কাজই গবেষণামূলক।

গবেষণাকাজের বিষয়ে বিশেষ করে জানতে চাইলে প্রফেসর ড. হাকিম আরিফ বলেন, ‘বৃহৎ পরিসরে গবেষণা করতে গেলে ফান্ড দরকার হয়। ইতোমধ্যে সরকারের কাছ থেকে সেই ফান্ড আমরা পেয়েছি। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালাও পাস হয়েছে। গবেষণায় পাঁচটি ক্যাটাগরিতে বৃত্তি প্রদানের নিয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ে যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করছেন, তারা আবেদন করেছেন। বিভিন্ন ভাষা নিয়ে আরও কাজ শুরু করবো।’

সবার জন্য উন্মুক্ত যেসব সেবা

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ১২ হাজার বইয়ে সমৃদ্ধ একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। আছে বঙ্গবন্ধু কর্নার, সাইবার কর্নার। বিশ্ব লিখন রীতি আর্কাইভ রয়েছে ৬ষ্ঠ তলায়। আরও রয়েছে ভাষা জাদুঘর। ইউনেস্কোর সদস্য দেশগুলোর তথ্য মানচিত্র। এগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে, একেবারেই ফ্রি সেবার ব্যবস্থা। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন অফিস সময়ে যে কেউ এই সেবা নিতে পারেন।

/ইউএস/
সম্পর্কিত
তাসখন্দে শহীদ মিনার স্থাপনের প্রস্তাব
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রজতজয়ন্তী পালন করবে ইউনেস্কো
অগ্নিঝরা মার্চের প্রথম দিন আজ
সর্বশেষ খবর
সৎ মাকে বটি দিয়ে কোপালো কিশোর, ঢামেকে মৃত্যু
সৎ মাকে বটি দিয়ে কোপালো কিশোর, ঢামেকে মৃত্যু
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
ধানক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে বুনো হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
কোনও রান না দিয়ে ৭ উইকেট, টি-টোয়েন্টিতে ইন্দোনেশিয়ার বোলারের বিশ্ব রেকর্ড
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
রাজধানীতে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুল শিক্ষার্থীসহ নিহত ২
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত