X
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সৌদি যেতে সব খরচ নিয়োগকর্তা দেয়, ফ্রি ভিসা বলে কিছু নেই: সৌদি রাষ্ট্রদূত

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ মে ২০২৩, ২৩:৪৩আপডেট : ২৬ মে ২০২৩, ১৪:০২

বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান বলেছেন, ভিসা কেনাবেচা বলে তেমন কিছুই নেই। সৌদি কোম্পানি কিংবা নিয়োগকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ফি বহন করেন। সুতরাং কোনও কর্মীর কাছ থেকে কোনও প্রকার ফি নেওয়া হয় না। সৌদি আরবে এখন ‘ফ্রি ভিসা’ বলে কিছু নেই। প্রত্যেকটি কর্মী নির্দিষ্ট পেশায় সৌদি আরব যাচ্ছে। তবে সেখানে যাওয়ার পর কাজ না করা এবং নিয়োগকর্তার কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন আয়োজিত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রবাহের সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও সমাধান শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা দিনে ৫ হাজারের বেশি ভিসা ইস্যু করি। আমাদের এখানে বাংলাদেশি ভাইদের সুবিধার্থে অনেক কঠোর পরিশ্রম করছি। এখানে ভিসা কেনাবেচা নিয়ে আলাপ হচ্ছে। আসলে ভিসা কেনাবেচা বলে তেমন কিছুই নেই। সৌদি কোম্পানি কিংবা নিয়োগকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সব ফি বহন করেন। সুতরাং কোনও কর্মীর কাছ থেকে কোনও প্রকার ফি নেওয়া হয় না। ২ হাজার রিয়ালের মধ্যে বিমান টিকেট, মেডিকেলসহ পুলিশ রিপোর্ট, বায়োমেট্রিকের সমস্ত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে। এ সমস্ত খরচ নিয়োগকর্তা বহন করেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা আর সমস্যা হচ্ছে মধ্যসত্ত্বভোগী বা দালাল। তারা কর্মীদের ভুল বোঝাচ্ছে। দালালরা কর্মীদের বলছে- আমাদেরকে টাকা দাও ভিসার জন্য। সৌদি আরবের কোনও নিয়োগকর্তা কর্মী থেকে অর্থ নেয় না। প্রতিটি কর্মী ফ্রিতে যাবে। আসলে আমাদের কর্মীদের সচেতন করতে হবে।   

তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের উন্নয়নের বাংলাদেশি কর্মীরা অবদান রাখছেন। তাদের কঠোর পরিশ্রম নতুন কর্মসংস্থান, রেমিট্যান্স এবং সামাজিক উন্নয়নে প্রভাব ফেলছে। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, এখানকার দালাল এবং রিক্রুটিং এজেন্সি সেখানে উচ্চ বেতনের আশা দেখিয়ে লোক পাঠায়, কিন্তু তারা গিয়ে দেখছে ভিন্ন চিত্র। যার ফলে তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে অনীহা দেখায় এবং পালিয়ে যায়। এরপর তারা বলছে সেখানে কাজ নেই। কাজ আছে কিন্তু তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে না। প্রতি দুই বছর পর চুক্তি নবায়ন হয় এবং সেই ফি নিয়োগকর্তাকে বহন করতে হয়। প্রত্যেক কর্মীর চুক্তি দুই বছরের জন্য হয়ে থাকে, সেটা নবায়ন করা কর্মীর দায়িত্ব। এখন নিয়োগকর্তার থেকে কর্মীর অধিকার বেশি সৌদি আরবে। বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আরও বাড়ানো সম্ভব যদি সৌদি আরবের স্বাস্থ্য খাতে কর্মী পাঠানো যায়। সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য কর্মীর চাহিদা আছে। যদি বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, নার্স সে দেশে যেতে চায় আমরা অবশ্যই তাদের স্বাগত জানাবো।  

এ সময় তিনি সৌদি আরবে চলমান বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোরও আহ্বান জানান।

/এসও/আরআইজে/
সম্পর্কিত
সৌদি আরবে ট্রাম্প-শারা বৈঠক: ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের আহ্বান
হজ করতে সৌদি পৌঁছেছেন ৪১,৬৭১ বাংলাদেশি, ৬ জনের মৃত্যু
হিলি দিয়ে কমেছে যাত্রী পারাপার, রাজস্ব নেমেছে ৬০ হাজারে
সর্বশেষ খবর
রাতের আঁধারে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে দেড় ঘণ্টা অবরোধ
রাতের আঁধারে দিনাজপুর-গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কে দেড় ঘণ্টা অবরোধ
ডলারের দাম নির্ধারণে বাজারই মূল নিয়ামক, থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি
ডলারের দাম নির্ধারণে বাজারই মূল নিয়ামক, থাকবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরদারি
৩ দফা দাবিতে রাতভর জবি শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান
৩ দফা দাবিতে রাতভর জবি শিক্ষার্থীদের সড়কে অবস্থান
রাজশাহী বিভাগের ৮ কারাগারে বন্দি কমেছে ৩ হাজার
রাজশাহী বিভাগের ৮ কারাগারে বন্দি কমেছে ৩ হাজার
সর্বাধিক পঠিত
সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য ধরার পরামর্শ
সাবেক সেনা সদস্যদের আবেদন পুনর্বিবেচনা করছে সেনাবাহিনী, ধৈর্য ধরার পরামর্শ
‘পুলসিরাত’ ইসলামিক নাম, তাই পরিবর্তনের নির্দেশ
‘পুলসিরাত’ ইসলামিক নাম, তাই পরিবর্তনের নির্দেশ
পূজা উদযাপন পরিষদের দুই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
পূজা উদযাপন পরিষদের দুই নেতার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ
আরও ১৬ ভারতীয়কে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে বিএসএফ
আরও ১৬ ভারতীয়কে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছে বিএসএফ