স্থানীয় প্রভাব বিস্তার ঠেকাতেই ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সম্পৃক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তিনি বলেন, ‘একজন কর্মকর্তার ওপর দায়িত্ব দেওয়া থাকলে অনেকেই সেখানে প্রভাব বিস্তার করে। তারা চাপের মুখে থাকে। এই চাপ অতিক্রম করা অনেক সময় কঠিন হয়। সেজন্য আমরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রধান করে পুলিশ, শিক্ষা ও আমাদের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি করেছি। এতে একক কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। এছাড়া এত কর্মকর্তার ওপর চাপ প্রয়োগ করাও সম্ভব হবে না।’
সোমবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রগুলোকে ডাটাবেজ আকারে সংরক্ষণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ভোটকেন্দ্রের ডাটাবেজ অনুযায়ী স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে।’
প্রতিদিনই ভোটার হচ্ছে এমন তথ্য জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকবে। যখন তফসিল দেবো তখন আমরা ঘোষণা করবো—এই তারিখের পরে যারা ভোটার হবে, তারা এই নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।’
তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। কারণ, কয়েক ধাপে ওখানে আবেদন যাচাই করা হয়। তবে এখন শুনছি, কোনও কোনও রোহিঙ্গা অন্য এলাকায় চলে গিয়ে ভোটার হওয়ার চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘দায়িত্বকাল শেষ হওয়ার পর পেনশন সুবিধা চেয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাব অযৌক্তিক ছিল। তাই বর্তমান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন ওই প্রস্তাবে একমত নয় বলে আইন মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘১৯৮৩ সালে সামরিক আইনের অধ্যাদেশ ছিল, সেটা বাতিল করা হয়েছে। সে অনুযায়ী সম্মানি ও ভাতার বিষয়টি কেবল বাংলায় করে নেওয়া হয়েছে। নতুন করে সংযোজন-বিয়োজন কিছুই হবে না। অধ্যাদেশে যা ছিল তা-ই থাকবে।’