‘কেউ যদি নিরাপত্তাহীন বোধ করেন, তিনি প্রথমত পুলিশের দ্বারস্থ হন, অন্তত একটা জিডি করে। কল্পনা আক্তার কোনও জায়গায় জিডি করেছেন কিনা বা তিনি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করছেন সেটিও মৌখিকভাবে কাউকে বলেছেন বলে আমাদের জানা নেই। কেউ যদি বাংলাদেশে বৃষ্টি হলে ওয়াশিংটনে ছাতা ধরে তাহলে সে নিয়ে আমার বলার কিছু নাই।’ এই কথা বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (২২ নভেম্বর) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত সাংবাদিক স্বপন কুমার কন্ডু রচিত ‘সাংবাদিকতার অ আ ক খ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে, দেশে বৃষ্টি হলে হয় মস্কোতে ছাতা ধরে, না হয় ওয়াশিংটনে ছাতা ধরে, আবার কেউ কেউ পিকিংও যায় ছাতা ধরতে। এখন বিষয়টা সে রকম কি না আমি জানি না। তবে এ নিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন যে, এটি নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। প্রয়োজনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাছে জানতে চাইবে।’
অবশ্যই সরকারের কাছে যদি তিনি রিপোর্ট করেন অবশ্যই সরকার তাকে সবরকম সহায়তা করবে, নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেটি করবে বলেও উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘নিয়মটা হচ্ছে, যিনি বাংলাদেশের নাগরিক, বাংলাদেশে বসবাস করেন, তিনি যদি নিরাপত্তাহীনতাবোধ করেন তাহলে বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বা নিরাপত্তা বাহিনীকেই বলতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতও যখন নিরাপত্তাহীনতাবোধ করেছেন তখন আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, পুলিশকে বলেছেন।
গাড়ি পোড়ানো-হামলার পরও সিপিডি, টিআইবি, অ্যামনেস্টি চুপ কেন
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের জনগণ এখন সিপিডি, টিআইবি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতি খুঁজছে, তারা কোথায়। দেশে এতো কিছু ঘটে যাচ্ছে আগুনসন্ত্রাস হচ্ছে, মানুষ মারা যাচ্ছে, স্কুলে আগুন দিচ্ছে। তখন উনারা কোথায়, তারা এখন নিশ্চুপ কেন!’
তিনি বলেন, ‘ঢাকায় গুলশানের উপনির্বাচনে একজনকে কেউ তাড়া করলো সেটি নিয়ে তারা যেভাবে বিবৃতি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লো আর এখন সারাদেশের মানুষকে যে জিম্মি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, প্রতিদিন গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারলো, এরপরও উনাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আমি শঙ্কিত তারা অসুস্থ কিনা বা মানসিকভাবে তাদের কোনও সমস্যা হয়েছে কিনা। এটি অনেকে প্রশ্ন রেখেছে। তারা এতো জ্ঞানী এবং দেশ সম্পর্কে এতো সচেতন যে, কেউ কাউকে ঘুষি মারলেও বিবৃতি দিতে চায় বা দেয়। তারা এখন কোথায়, এটি জনগণের প্রশ্ন।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনের গাজায় যেভাবে হত্যাযজ্ঞ চলছে, বাংলাদেশে এতো কিছু ঘটছে ২০১৩, ১৪, ১৫ সালেও জ্বালাও-পোড়াও হয়েছে, অথচ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তখনও কিছু বলে নাই, এখনও নিশ্চুপ। যারা এ ধরনের একপেশে আচরণ করে তাদের বিবৃতি আপনারা ছাপান আর টেলিভিশনেও কেন এগুলো দেখায় সেটিই আমার প্রশ্ন।’