সার্বিক বিবেচনায় বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহ (রফতানি) অব্যাহত রাখার জন্য রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কিকে অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গম ও সার সরবরাহকারী অন্যতম দেশ রাশিয়া। জি টু জি ভিত্তিতে রাশিয়া থেকে বাংলাদেশে গম ও সার আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন গম আমদানির টাকা পরিশোধ করেছে। বন্যাসহ বিদ্যমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আমদানি করা গমের সর্বশেষ চালানের টাকা পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি। রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে লিখিত আকারে রাশিয়াকে অবহিত করলে তারা বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত দেখা করতে গেলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব অনুরোধ জানান।
বৈঠকে কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ল্যাবের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফয়সল হাসান।
রাশিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাশিয়া বিনামূল্যে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন বা এক জাহাজ পটাশ সার সরবরাহ করবে। উপদেষ্টা এ জন্য রাশিয়াকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও দ্রুত প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সারের পাশাপাশি বাংলাদেশকে এক জাহাজ গম বিনামূল্যে সরবরাহ করার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ করে উপদেষ্টা বলেন, ‘বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। এ লক্ষ্য অর্জনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি।’
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি ও ফরেনসিক ল্যাব আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা একমত প্রকাশ করে বলেন, ‘ভবিষ্যতে এ খাতে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করা হবে।’
বৈঠকে ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাসের কাউন্সেলর অ্যান্টন চার্নোভ ও ভ্লাদিমির মোখালভসহ দূতাবাসের প্রতিনিধি এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।