প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য পুনরায় ভিসা চালুর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিভিন্ন খাতে দেশটির বিনিয়োগের প্রস্তাবকেও স্বাগত জানান তিনি। প্রফেসর ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহনশীলতা ও সহাবস্থান বিষয়ক মন্ত্রী শেখ নাহায়ান বিন মোবারক আল নাহায়ানের প্রতি এ বিষয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বুধবার (৭ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন শেখ নাহায়ান বিন মোবারক আল নাহায়ান। সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধি দলটি দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছালে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান। প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন– সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আহমেদ বিন আলী আল সায়েঘ, বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবদুল রহমান আল হাওয়ি।
আল নাহায়ান প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্টের নির্দেশে আমি এখানে এসেছি সংহতি প্রকাশ করতে এবং বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বের কথা তুলে ধরতে।’
তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দুই সরকার যে বর্ধিত সংলাপের আয়োজন করেছে, আমরা তার প্রশংসা করি। আমরা বিনিয়োগ থেকে শুরু করে ভিসা পর্যন্ত সব ক্ষেত্রে আশ্বস্ত ও সহযোগিতা করতে চাই।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা এই সম্পৃক্ততা এবং সমর্থনকে স্বাগত জানাই, আমরা বিভিন্ন শিল্পে বিনিয়োগকেও স্বাগত জানাই।’
ভিসা ব্যবস্থা শিথিল করার কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দরজা খোলার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। এখনও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আশা করি, আমরা একসঙ্গে কাজ করবো এবং এই সমস্যাগুলো সমাধান করবো।’
সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্প্রতি দৈনিক ভিত্তিতে ৩০ থেকে ৫০টি ভিজিট ভিসা দেওয়া শুরু করেছে। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের জন্য বাল্ক ভিসাও ত্বরান্বিত করা হয়েছে। এছাড়াও দক্ষ কর্মসংস্থান ভিসার জন্য অনলাইন সিস্টেমটি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় দ্বারা পুনরায় সক্রিয় করা হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে বিপণন ব্যবস্থাপক, হোটেলকর্মী ইত্যাদির জন্য ভিসা এই রুটের মাধ্যমে জারি করা হয়েছে। তাছাড়া সিকিউরিটি গার্ডদের জন্য পাঁচশ’ ভিসা ইস্যু করা হয়েছে, তাৎক্ষণিক পাইপলাইনে অনুমোদিত আরও এক হাজার ভিসা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আল হামিদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।