শুল্কমুক্ত কোটায় নিয়ে আসা বিলাসবহুল গাড়ি কয়েকটি এয়ারলাইন্স অবৈধভাবে ব্যবহার করছে বলে তথ্য পেয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। এরইমধ্যে ওইসব এয়ারলাইন্সের দেশীয় এজেন্টদের চিহ্নিত করে তাদের বিষয়ে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছেন তারা। শুল্ক না দিয়ে ব্যবহার করা বিলাসবহুল গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের পর ওইসব গাড়ি লুকিয়ে রাখা হয়েছে। গাড়িগুলো কোথায় রাখা হয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
শুল্ক গোয়েন্দারা জানান,এরইমধ্যে দুবাইভিত্তিক বিমান সংস্থা ফ্লাইদুবাইয়ের স্থানীয় এজেন্ট স্কাই এভিয়েশনের নামে নিয়ে আসা চারটি গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর।গাড়িগুলো হচ্ছে রেঞ্জ রোভার জিপ দু’টি, একটি রোলস রয়েস কার এবং অন্যটি মার্সিডিজ বেঞ্জ কার। শুল্কমুক্ত সুবিধায় নিয়ে আসা গাড়িগুলো শর্ত ভঙ্গ করে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করা হচ্ছিলো। চারটি গাড়িতেই প্রায় সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেন তারা।
অন্য যে এয়ারলাইন্সগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে সেগুলোর নাম এখনই বলতে রাজি হননি শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। তবে আরও কয়েকটি এয়ারলাইন্সের নামে শুল্কমুক্ত সুবিধায় নিয়ে আসা গাড়ি শর্ত ভঙ্গ করে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনা বিলাসবহুল গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান জোরদারের পর সেগুলো লুকিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও তথ্য পেয়েছেন তারা। গাড়িগুলোর অবস্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করেই সেগুলো জব্দ করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মইনুল খান বলেন, কার্নেট ডি প্যাসেঞ্জার সুবিধায় নিয়ে এসে শর্ত ভঙ্গ করে শতাধিক দামি বিলাসবহুল গাড়ি দেশের রাস্তায় চলাচল করছে বলে তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। কোটি কোটি টাকা মূল্যের শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধ উপায়ে রাখা রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ ও পোরশেসহ এসব বিলাসবহুল গাড়ি আটক করতে অভিযান চালাচ্ছেন তারা। গত এক বছরে এমন ১০টি গাড়ি জব্দ করতে পেরেছেন তারা। অন্যগুলো জব্দে অভিযান আরও জোরদার করা হয়েছে।
মইনুল খান আরও বলেন, অভিযান জোরদার করার পর অনেকেই এ বিলাসবহুল গাড়ি লুকিয়ে ফেলেছেন। অনেক মালিক গা ঢাকা দিয়েছেন। লুকিয়ে ফেলা গাড়ি উদ্ধার ও মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তারা। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শুল্ক ফাঁকি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন-
পুলিশের কাছে ৪০ লাখ ভাড়াটিয়ার তথ্য: আসবাবপত্রের দিকেও নজর রাখতে হবে
আহসানউল্লাহ’র শিক্ষক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
/জেইউ/এমএসএম /