X
সোমবার, ০৬ মে ২০২৪
২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত ফিরছে সনু

বরগুনা প্রতিনিধি
২৯ জুন ২০১৬, ০৯:৫৮আপডেট : ২৯ জুন ২০১৬, ১৭:৩৫

ভারতে ফিরে যাচ্ছে সনু

ভারতীয় শিশু সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বরগুনার একটি আদালত। নিরাপরাধ শিশু ও মানবিক বিষয়টি বিবেচনা করে ভারতীয় হাইকমিশনের কাছ থেকে কোনও জামানত ছাড়াই তাকে জিম্মায় দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। ভারতীয় হাইকমিশন মঙ্গলবার জিম্মানামা দিতে রাজি হয়েছে। ফলে এখন আর সনুর ভারতে ফিরতে কোনও বাধা রইল না। সোমবার বরগুনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু তাহের এ আদেশ দেন।

ফলে পাঁচ বছর পর সনু তার মা-বাবার কাছে ফিরে যাবে। এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাচারকারী চক্রের সদস্যরা দিল্লি থেকে বরগুনায় নিয়ে আসে সনুকে। বর্তমানে সে যশোরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে আছে।

ভারতে ফিরে যাচ্ছে সনু

রবিবার ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষে মুখ্য সচিব রমাকান্ত গুপ্তা বরগুনার শিশু আদালতে সনুকে তার বাবা-মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভারতীয় হাই কমিশনের জিম্মায় নেওয়ার আবেদন করেন। আবেদনের শুনানির পর বিচারক আবু তাহের প্রথমে পাঁচ লাখ টাকা জামানত দিয়ে সনুকে ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব রমাকান্ত গুপ্তের জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন। এসময় ভারতীয় দূতাবাসের মুখ্য সচিব জামানত দিয়ে শিশু সনুকে ফিরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আদেশ পুনর্বিবেচনার আবেদন করলে পরবর্তীতে বিচারক জামানতের অর্থ এক লাখ টাকা নির্ধারণ করেন। এতেও আপত্তি জানালে বিচারক নিরাপরাধ শিশুটির মানবিক বিষয় বিবেচনা করে ও ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের জন্য কোনও জামানত ছাড়াই ভারতীয় হাইকমিশনের জিম্মায় দেওয়ার আদেশ দেন।

রমাকান্ত গুপ্তা বলেন, ‘আমরা যতদ্রুত সম্ভব সনুকে তার বাবা মায়ের কাছে পৌঁছে দেবো।’

আদালতে ভারতীয় হাইকমিশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট সঞ্জিব দাস বলেন, ‘আদালত ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় শিশুটির মানবিক বিষয় বিবেচনা করে সনুকে ভারতীয় হাই কমিশনের জিম্মায় দিয়েছে।’

সনু বলে, ‘আমি আমার বাবা-মায়ের কাছে যাবো। বাবা মা আমাকে আদর করবে।’

বাংলার বজরঙ্গি ভাইজান জামাল ইবনে মুসা বলেন, ‘সনুকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি খুব খুশি। এই শিশুটিকে ফিরিয়ে দেবো বলে অনেক মামলা করেছে আমার ও আমার পরিবারের নামে। সনু তার বাবা-মায়ে আদর স্নেহ পাক এটাই আমি চাই। আমি দোয়া করি সনু লেখা পড়া করে অনেক বড় হবে। আমি সময় করে ভারতে গিয়ে সনুকে দেখে আসবো।’

২০১০ সালে দিল্লি সনুকে অপহরণ করে বরগুনার বেতাগী উপজেলার গেরামর্দন গ্রামে নিয়ে আসে পাচারকারী রহিমা ও আকলিমা। তাদের কাছ থেকে অনেকবার সনু পালাবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বিষয়টি এলাকার জামাল ইবনে মুসা নামের এক ব্যক্তির দৃষ্টিগোচর হলে তিনি সনুকে নিজের কাছে রেখে তার নাম-পরিচয় খুঁজতে থাকেন। পরে তিনি দিল্লির দিলশাদ গার্ডেন এলাকায় সনুর মা-বাবাকে খুঁজে পান।

/এনএস/এসটি/

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ফিঙ্গার প্রিন্ট এবার দেশেই নেওয়া হবে

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
নারায়ণগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৩
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
সুন্দরবনে আগুন ছড়ানো রুখতে দেওয়া হয়েছে বেরিকেট
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
এই ৬ বীজ নিয়মিত খেলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
লখনউকে বড় হারের লজ্জা দিয়ে শীর্ষে কলকাতা
সর্বাধিক পঠিত
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
‘টর্চার সেলে’ নিজ হাতে অপারেশনের নামে পৈশাচিক আনন্দ পেতো মিল্টন, জানালেন হারুন
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
নিজেদের তৈরি ভেহিকেল পেরুকে উপহার দিলো সেনাবাহিনী
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন বৃষ্টি হবে
সব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ডিবি হারুনসব জেনেও পুলিশকে কিছু জানাননি মিল্টনের স্ত্রী