সুশীল সমাজের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল ১১টায় নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংলাপ শুরু হয়।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নিয়েছেন অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
আলোচনায় অংশ নিতে উপস্থিত আছেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, এম হাফিজ উদ্দিন খান, হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক সচিব এ এইচ এম কাশেম, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সা’দত হুসাইন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তারেক শামসুর রহমান,সাবেক রাষ্ট্রদূত ওয়ালিউর রহমান,সাবেক রাষ্ট্রদূত এ এফ গোলাম হোসেন,ঢাবি অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক তাসনিম সিদ্দিকী,বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ,বেসরকারি সংস্থার সাইফুল হক,সঞ্জীব দ্রং,প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক মিজানুর রহমান খান,সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন,ফিলীপ গায়েন,ব্রতীর নির্বাহী শারমিন মুর্শিদ,অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান,অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী,সাবেক সচিব রকিব উদ্দিন মণ্ডল,কলাম লেখক মহিউদ্দিন আহমদ,টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক মাহবুবা নাসরিন,খুশী কবির, অধ্যাপক এমএম আকাশ, অধ্যাপক অজয় রায় ও সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো দ্রেবপ্রিয় ভট্টাচার্য,সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীসহ প্রায় ৩০ জন।
আমন্ত্রণ না পেলেও কবি লুবনা হাশেম ও নবাব সলিমুল্লাহর নাতি আলী আহসান আসগরি সংলাপের উপস্থিত হনে। পরে তাদেরকে সংলাপ থেকে চলে যেতে বলা হয়। এসময় লুবনা হাশেম চিৎকার চেঁচামেচি করেন। এতে সাময়িকভাবে সংলাপে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। পরে বাইরে এসেও তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে চিৎকার করে কথা বলেন। তিনি বলেন, 'আমি সচেতন ব্যক্তি হিসেবে এসেছি।'
জানা গেছে, আমন্ত্রণ না পাওয়া আরও দুই-তিনজন সংলাপে উপস্থিত আছেন।
প্রসঙ্গত, ১৬ জুলাই ইসি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে রোডম্যাপ প্রকাশ করে। এই কর্মপরিকল্পনায় সাতটি বড় বিষয়ের ওপর কার্যক্রম নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এর মধ্যে বড় একটি বিষয় ছিল সংলাপ। ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের মাধ্যমে এই সংলাপ শুরু হতে যাচ্ছে। সুশীল সমাজের ৫৯ জনের তালিকায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, সাবেক সচিব, সাবেক রাষ্ট্রদূত, বিচারপতি, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, আইনজীবী, অর্থনীতিবিদ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা রয়েছেন। সুশীল সমাজের সঙ্গে সংলাপের পর ইসি ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলসহ অন্যদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে যাবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
/ইএইচএস/এসএনএইচ/এসটি/