X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

‘অত্যাচারের ভয়ে রোহিঙ্গাদের পালিয়ে আসা আশা করে না বাংলাদেশ’

শেখ শাহরিয়ার জামান
২৪ আগস্ট ২০১৭, ১০:৪৪আপডেট : ২৪ আগস্ট ২০১৭, ১০:৫৩

রোহিঙ্গা (ফাইল ছবি) গত কয়েক দশক ধরে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে। গত অক্টোবরের পরে এর মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। ফেব্রুয়ারির শেষদিকে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ঢল কিছুটা কমলেও সম্প্রতি ফের তাদের পালিয়ে আসার মাত্রা বেড়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের অধিবাসী। অত্যাচারের ভয়ে তাদের বাংলাদেশে পালিয়ে আসাটা আমরা আশা করি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ সমস্যার মূল মিয়ানমারে এবং এর সমাধান মিয়ানমার সরকারকেই করতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালে কক্সবাজারে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে এই কথা বলেন। বাংলাদেশে অবস্থিত নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বিষয়ে জাতীয় টাস্কফোর্সের ১৪ তম বৈঠকে অংশ নিতে কক্সবাজারে আছেন পররাষ্ট্র সচিব। তিনি এই টাস্কফোর্সের প্রধান।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা অনেকবার মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বলেছেন, এ সমস্যা সমাধানে যে কোনও ধরনের সহায়তা করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। আমরা আমাদের সীমিত সম্পদ দিয়ে তাদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করছি।’ রোহিঙ্গা (ফাইল ছবি)

সরকারি হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে তিন লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাস করছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি অবস্থান করছে টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায়। গত অক্টোবর থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত প্রায় ৮৭,০০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, গত মার্চে ৪ হাজার ৮১৯ জন এবং এপ্রিলে ৫ হাজার ৮৬০ জন রোহিঙ্গা  বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জুনে ৫ হাজার ৫৫৩ জন এবং জুলাইয়ে ৬ হাজার ৫৩১ জন রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমরা বুধবার (২৩ আগস্ট) তিনটি অস্থায়ী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে সেখানকার অবস্থা দেখে এসেছি।’

বৃহস্পতিবার টাস্কফোর্সের বৈঠকে কী বিষয়ে আলোচনা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র অনুযায়ী দুটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। একটি হচ্ছে জাতীয় টাস্কফোর্স যার প্রধান আমি এবং অন্যটি হচ্ছে জেলা টাস্কফোর্স যার প্রধান হচ্ছে স্ব স্ব জেলার প্রশাসক বা ডিসি। আমরা জাতীয় টাস্কফোর্সের সঙ্গে জেলা পর্যায়ের টাস্কফোর্সের সমন্বয় বাড়াতে চাই। আমরা চাই তারা যেন সপ্তাহে একটি মাঠ পর্যায়ের রিপোর্ট জাতীয় টাস্কফোর্সকে দেয়। আজকের বৈঠকে আমরা এর জন্য প্রয়োজনীয় সবাইকে ডেকেছি এবং আমরা সবার কথা শুনবো।’

এ বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব, জননিরাপত্তা সচিব, পরিবেশ সচিব, স্থানীয় প্রশাসন, বিজিবি, কোস্ট গার্ড, বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় এনজিও যারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কাজ করে তাদের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন এ বৈঠকে দুটি প্রেজেন্টেশন দেবে। এছাড়া জাতিসংঘের পক্ষে আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিনস একটি প্রেজেন্টেশন দেবেন।

আরও পড়ুন- রোহিঙ্গা শিশুরা বার্মিজ বর্ণমালা শিখছে বাংলাদেশে



/এসএসজেড/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
বাজারে এলো বাংলা ভাষার স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ