X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

আবারও চার জেলায় পুলিশ-র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ৫ জন নিহত

বাংলা ট্রিবিউন ডেস্ক
২২ মে ২০১৮, ০৪:০৭আপডেট : ২২ মে ২০১৮, ১২:০০

বন্দুকযুদ্ধ

পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চুয়াডাঙ্গা ও নেত্রকোনায় পাঁচ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কুমিল্লায় নিহত হন দুজন। নিহতদের মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ মে) মধ্যরাতে এসব ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযানে গত চারদিনে ২৩ ব্যক্তি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হলেন।

কুমিল্লা প্রতিনিধি জানান, কুমিল্লা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও থানা পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শরীফ ও পিয়ার নামে তালিকাভুক্ত শীর্ষ দুই মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে জেলা সদরের অদূরে বিবিরবাজার অরণ্যপুর এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ২ রাউন্ড গুলিসহ একটি রিভলবার, একটি পাজেরো জিপ, ৫০ কেজি গাঁজা এবং ৫০০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানকালে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুপ কুমারসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সীমান্ত এলাকা থেকে মাদকের একটি বড় চালান আসছে—গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমনের নেতৃত্বে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া, ডিবির ওসি নাছির উদ্দিন মৃধা, কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মো. সালাহ উদ্দিনসহ ও ডিবি পুলিশের একাধিক পৃথক টিম ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। রাত পৌনে ১টার দিকে মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

অভিযানে অংশ নেওয়া কুমিল্লা ডিবির এসআই শাহ কামাল আকন্দ পিপিএম মুঠোফোনে জানান, ঘটনাস্থলে শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী শরীফ (২৬), পিয়ার আলী (২৮) ও সেলিম গুরুতর আহত হয়। তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ডাক্তাররা মাদক ব্যবসায়ী শরীফ ও পিয়ারকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মধ্যে মধ্যে মো. শরীফ জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মহেষপুর গ্রামের আবদুল মান্নানের পুত্র। তার বিরুদ্ধে ৫টি মাদক মামলা রয়েছে। অপর নিহত পিয়ার আলী আদর্শ সদর উপজেলার শুভপুর গ্রামের আলী মিয়ার পুত্র। তার বিরুদ্ধে ১৩টি মাদকের মামলা রয়েছে।

ওই অভিযান চলাকালে কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রুপ কুমার, এসআই শাহ আলম, কনস্টেবল তানভীর এবং ডিবির এএসআই শাহীনুর আলম আহত হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

অন্যদিকে, চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জানান, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের কাছে গুলিতে কামরুজ্জামান সাধু (৪৫) নামে এক চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সাজাপ্রাপ্ত আসামি নিহত হয়েছে। ওই সময় পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছে। নিহত কামরুজ্জামান সাধু উপজেলার হারদি গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) লুতফুল কবির জানান, সোমবার দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের কাছে টহল দিচ্ছিল। ওই সময় ৬-৭ জন মাদক ব্যবসায়ী তাদের লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে পুলিশও পাল্টা গুলি করলে মাদক ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান সাধু নিহত হয়  আর অন্যরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। এসময় পুলিশের উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান, সহকারী উপপরিদর্শক হামিদুর রহমান ও শহিদুল ইসলাম এবং কনস্টেবল রাকিব আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দেশীয় পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও এক বস্তা ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে।  

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন ডেবারপাড় এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’  শুক্কুর আলী (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। র‌্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা গুলি শুরু করে। পরে র‌্যাবও পাল্টা গুলি করলে তারা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে আহত অবস্থায় শুক্কুর আলীকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব প্রায় ১০ হাজার পিস ইয়াবা, একটি ওয়ানশ্যটার গান, বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে। 

নেত্রকোনা প্রতিনিধি জানান, সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের বড়য়ারী এলাকায়  পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আমজাদ হোসেন নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে।   নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন বলেন, সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আমজাদ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে সদর উপজেলার বড়য়ারী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। ওই সময় আমজাদের সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ শুরু হয়। এতে আমজাদ হোসেন নিহত হয়। আমজাদ নেত্রকোনা শহরের পশ্চিম নাগড়া এলাকার বাসিন্দা।

ওসি আরও বলেন, ওই ঘটনায় তিনিসহ উপপরিদর্শক মহসিন, মামুন, মকবুল ও কনস্টেবল মালেক আহত হয়। তাদের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 

 

/আরএ/টিএন/চেক-এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ