X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

জলবায়ুর টাকা পুরোটাই গেছে জলে, ২৯৬ জনের বিদেশ সফর

শাহেদ শফিক
১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:০০আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৫৭

জলাবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সাল নাগাদ অনেক অঞ্চলে দেখা দেবে তীব্র পানি সংকট জলবায়ুজনিত ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ অন্যতম। ঝুঁকি কমাতে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না কোনোটির। জলবায়ু তহবিলের প্রকল্পগুলোতেও চলছে অর্থের তছরুপ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অদক্ষতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের নানাদিক এবং এই খাতের অনিয়ম নিয়ে শাহেদ শফিকের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের আজ থাকছে তৃতীয় পর্ব।

দক্ষতা অর্জনের নামে প্রকল্পের অর্থব্যয়ে বিদেশ ভ্রমণের মহোৎসব চলানো হয়। কর্মকর্তাদের কেউ কেউ ১০-১১ বার পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। কিন্তু গত ১০ বছরে যারা দক্ষতা অর্জনের জন্য বিদেশ ভ্রমণ করেছেন তাদের অধিকাংশই চলে গেছেন অবসরে। যে ক’জন এখনও কর্মরত আছেন তারাও অন্য মন্ত্রণালয়ে বদলি হয়ে গেছেন। ফলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সরকারেরও কোন কাজে আসেনি তাদের প্রশিক্ষণ। বিষয়টিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন এ সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি।

এ অবস্থায় প্রকল্পটির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। প্রকল্পের অধীনে ১০ বছরে ২৯৬ জন কর্মকর্তা বিদেশে প্রশিক্ষণে গেছেন। একজন কর্মকর্তা ১০ বারও গেছেন। কমিটি মনে করছে, প্রকল্পের ব্যয় এর উদ্দেশ্যের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। প্রকল্পটি মূল্যায়নের জন্য পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগে (আইএমইডি) পাঠিয়েছে সংসদীয় কমিটি।

বিদেশ ভ্রমণে বাদ যাননি কেউই। সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, তার পিএস ও এপিএস-ও বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন থেকে শুরু করে কাউন্সিলর, পুলিশের টিআই; স্যাম্পল কালেক্টরসহ সবাই মিলে এই ‘উৎসবে’ যোগ দিয়েছেন। এ নিয়ে সংসদীয় কমিটিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রকল্পের বড় কর্তারা আমেরিকা, নরওয়ের মতো দেশে গেলেও ছোট কর্মকর্তাদের ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এই ভ্রমণকে ‘নিয়মিত অনিয়ম’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে সংসদীয় কমিটি।

এই প্রকল্পের কর্মকর্তাদের পাহারায় নিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাও বাদ যাননি বিদেশ ভ্রমণ থেকে। আর পুরো প্রকল্পের অর্ধেক টাকা ব্যয় করা হয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ভাতার পেছনে। যার পরিমাণ ১৮২ কোটি টাকা!

আরও পড়ুন: জলবায়ুর টাকায় ফুটওভার ব্রিজ, ট্রাফিক বাতি!

কেইস প্রকল্পের এই অনিয়ম দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেছে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রশিক্ষণের নামে বিদেশ ভ্রমণ উৎসবে পরিণত করা হয়েছে। ট্রাফিক সার্জন থেকে শুরু করে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলররা পর্যন্ত গেছেন। এখানে যে পরিমাণ অর্থের অপচয় হলো তার চেয়ে সেখানে যদি আমরা কিছু প্রশিক্ষক তৈরি করে নিয়ে আসতে পারতাম, তাহলে তারা দেশে এসে সবাইকে প্রশিক্ষণ দিতে পারতো। কিন্তু তা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তাদের বিরাট অংশ অবসরে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ অন্য মন্ত্রণালয়ে বদলি হয়েছেন। এখন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধির যে একটা প্রয়াস আমরা কিন্তু সেটা পাচ্ছি না। অর্থটা অপচয় হলো। আসলে এর কোনও নীতিমালা ছিল না।

সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, এ প্রকল্পে যারা পরিবেশ সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখেন না তাদেরও যুক্ত করা হয়েছে।

প্রকল্পের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, প্রশিক্ষণের নামে ২৯৩ জন ব্যক্তি বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। প্রকল্পের উপ-পরিচালক শাহ রেজোয়ান হায়াত গেছেন ১১ বার। প্রতি বছরই তিনি প্রশিক্ষণের নামে বিদেশ গিয়েছেন। কম যাননি প্রকল্প পরিচালক নাসিরুদ্দিনও। তিনিও প্রশিক্ষণের নামে একাধিকবার বিদেশ ভ্রমণে গিয়েছেন। এ ছাড়া উপ-সচিব মো. শামসুর রহমান খানও কয়েকবার গেছেন। তাদের সঙ্গে প্রতিবারই ভ্রমণের সুবিধা নিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ড. এসএম মঞ্জুরুল হান্নান খান। এ ছাড়া, দুই সিটি করপোরেশনের সাবেক কয়েকজন প্রশাসক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অধিকাংশ বিভাগীয় কর্মকর্তাও এই ভ্রমণে অংশ নিয়েছেন। ভ্রমণে দক্ষিণ সিটির মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনসহ দু’জন কাউন্সিলরও অংশ নিয়েছেন। এ ছাড়া সিটির কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিএমপির শীর্ষ কর্মকর্তা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তারা এ তালিকায় রয়েছেন।

জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল হান্নান খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এর সব কাজ বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার দেখভাল করেছে। এখানে অনিয়মের সুযোগ নেই। বিদেশ সফর নিয়ে তিনি বলেন, প্রশিক্ষণকে সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে, প্রশিক্ষণ না পেলে দক্ষ জনবল তৈরি হবে কীভাবে? এটা কাজেরই অংশ।

এদিকে প্রকল্পের অধীন ৩১টি গাড়ি নতুন কেনা হলেও বেশিরভাগই মেয়াদের আগেই অচল দেখানো হয়েছে। অথচ ১০ বছরে ৯টি গাড়ি বিকল হয়েছে। এতে সরকারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। এসব গাড়ির মধ্যে মাইক্রোবাস, পিকআপ, মোবাইল মনিটরিং ভ্যান ও জিপ রয়েছে। আবার সচল গাড়ির অবস্থাও শোচনীয়।

আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ কমাতে ৮০০ কোটি টাকা: বেতন-ভাতা, যন্ত্রপাতি আর বিদেশ ভ্রমণেই ফুরালো!

গাড়িগুলো কেন বিকল হয়েছে সে সম্পর্কে কেইস প্রকল্পের পরিচালক (দক্ষিণ সিটি অংশ) সিরাজুল ইসলাম বলেন, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। বরাদ্দ ছিল. তাই কেনা হয়েছে। তবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন ব্যবস্থাপক গোলাম মোর্শেদ বলেন, এগুলোর যাচ্ছেতাই ব্যবহার হয়েছে। আর অচল দেখালে তো লাভ। মেরামতের জন্য অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায়।

তিনি আরও বলেন, বিকল অবস্থায় আমাদের কাছে ১২টি গাড়ি হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা সেগুলো মেরামত করে এখন ব্যবহার করছি।

এদিকে, প্রশিক্ষণের সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ কর্মকর্তা প্রকল্পের মেয়াদ উত্তীর্ণের আগেই অবসরে গেছেন। এমন কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন ডিএসসিসির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনছার আলী খান, ডিসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আবদুল কাদির, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসানুল হক মিয়া ও মো. নুরুল্লাহ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আবদুস সালাম, কেইস প্রকল্পের পরিচালক (ডিএসসিসি অংশ) মো. সেহাব উল্লাহ, আইন কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।

জানতে চাইলে কেস প্রকল্পের বর্তমান পরিচালক ও ডিএসসিসির প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ প্রকল্পের অনেক বিষয়ে সংসদীয় কমিটি ক্ষোভ জানিয়েছে। এগুলো আমার সময়ে হয়নি। এগুলো আমি দায়িত্ব নেওয়া আগের ঘটনা।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর জলবায়ু অর্থায়নে সুশাসন সেলের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার জাকির হোসেন খান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শুধু জলবায়ু নয়, যেকোনও প্রকল্পের ক্ষেত্রে বিদেশ ভ্রমণে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা দরকার। তারা কী উদ্দেশ্যে ভ্রমণে যাচ্ছেন বা যে জ্ঞান অর্জনের কথা বলছেন সেটা তাদের দ্বারা কতটা বাস্তবায়ন করা সম্ভব সেটিও দেখতে হবে। এজন্য জবাবদিহির ব্যবস্থা করতে হবে। ভ্রমণের উদ্দেশ্য যদি বাস্তবায়ন না হয় তাহলে তাতে যে খরচ হয়েছে সেটি ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া উচিত।

প্রকল্পের সাবেক পরিচালকের দেশ ত্যাগ

এদিকে কেস প্রকল্পের ডিএসসিসি অংশের সাবেক পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিহাব উল্লাহ অবসরে যাওয়ার পরপরই দেশ ত্যাগ করেছেন। তিনি সপরিবারে কানাডায় চলে গেছেন। দেশে থাকাকালে তিনি তিনটি পাসপোর্ট ব্যবহার করতেন। পাশাপাশি সরকারি চাকরি থাকাকালীন তিনি কানাডার নাগরিকত্বও নিয়েছেন। অবসরে যাওয়ার কয়েক দিনের মাথায় তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে দেশত্যাগ করেন।

কেস প্রকল্প ছাড়াও শিহাব উল্লাহ ডিএসসিসির সানমুন টাওয়ার প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন। এ ছাড়া সংস্থাটির ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি। এই তিন প্রকল্পেই শিহাব উল্লাহ ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কানাডায় অর্থপাচার করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

দায়িত্বে থাকাকালে প্রকল্পটির নানা অনিয়ম বিষয়ে একাধিকবার জানতে চাইলেও তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দোহাই দিয়ে কখনও কথা বলেননি। সম্প্রতি তাকে ই-মেইল পাঠানো হয়। তাতেও সাড়া দেননি।

জানতে চাইলে পানি ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ম. ইনামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের সরকার বিদেশি সাহায্য ছাড়াও কোনও গবেষণা বা প্রকল্প গ্রহণ করে না। দাতা সংস্থা যদি বলে আমরা জলবায়ু ফান্ডে কিছু কাজ করবো, তখন সেখানে তাদেরই কনসালটেন্ট নিয়োগ থাকে। তাদের চাহিদা অনুযায়ী কাজ হয়। সেক্ষেত্রে প্রকল্পটি কোনও উপকারে আসলো কিনা সেটা কিন্তু তারা দেখে না। আজ পর্যন্ত জলবায়ু তহবিলের টাকায় যেসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে সবগুলোতেই এমন চিত্র দেখা গেছে। সরকারের যদি জবাবদিহি থাকতো তাহলে এই প্রকল্পের এমন চিত্র হতো না। প্রকল্পটি পুরোটি ছিল ভাঁওতা। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘খাও-দাও, বিদেশ যাও’।

বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি প্রশ্নগুলো লিখিত আকারে পাঠাতে বলেন। তার কাছে প্রশ্ন ছিল, এই প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ের যথার্থতা ও কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর নিয়ে সংসদীয় কমিটি আপত্তি জানিয়েছে। কমিটির আপত্তির বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? যারা বিদেশ সফর করেছেন তাদের অনেকেই অবসর বা মন্ত্রণালয় থেকে বদলি হয়ে গেছেন। তাহলে তাদের অভিজ্ঞতার সুফল মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ হয়েছে কিনা?

১০ নভেম্বর তার কাছে প্রশ্নগুলো পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত উত্তর পাওয়া যায়নি।

/টিএন/এফএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
উচ্চশিক্ষা খাতকে ডিজিটালাইজেশনে আনার পরামর্শ ইউজিসির
বিটুমিন গলে যাওয়া মহাসড়ক পরিদর্শনে দুদক
বিটুমিন গলে যাওয়া মহাসড়ক পরিদর্শনে দুদক
মিয়ানমারের ৩৮ শরণার্থীকে ফেরত পাঠালো ভারত
মিয়ানমারের ৩৮ শরণার্থীকে ফেরত পাঠালো ভারত
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাজ্যকে পাশে চায় বাংলাদেশ
সর্বাধিক পঠিত
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
মিল্টন সমাদ্দারের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তদন্ত করবে ডিবি
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস