X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বিচারপতিদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণসহ অভিযোগ করা যাবে, মিথ্যা অভিযোগে শাস্তি

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৫ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:১০আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০১৬, ১৫:৫১

হাইকোর্ট

বিচারপতিদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণসহ অভিযোগ দায়ের করার বিধান রেখে ‘বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন, ২০১৬’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই আইন পাস হলে যে কেউ যথাযথ প্রক্রিয়ায় বিচারপতিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। তবে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীর সর্বোচ্চ দুই বছর সাজা ও পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত সাপ্তাহিক বৈঠকে সোমবার এই আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. শফিউল আলম বলেন, ‘বিচারপতিরা অবিচারপতিসুলভ আচরণ করলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ অভিযোগ জানাতে পারবেন। তথ্যপ্রমাণসহ অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করা হবে।’

সচিব জানান, বিচারপতিদের বিরুদ্ধে জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে হবে। এরপর স্পিকার অভিযোগের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে ১০ সদস্যের কমিটি গঠন করে দেবেন। সংসদ সদস্যরাই কমিটির সদস্য হবেন। তারা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগ বিষয়ে তাদের মতামত দেবেন। এরপর স্পিকারের কাছে অভিযোগ তদন্তযোগ্য মনে হলে তিনি সাবেক একজন বিচারপতিকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে দেবেন। দ্বিতীয় এই কমিটি অভিযোগ যাচাইবাছাই করে এবং অভিযুক্ত বিচারপতিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে মতামত স্পিকারের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। তবে মতামত দেওয়ার জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের কমিটিকে নির্দিষ্ট সময় বেধে দেওয়া হয়নি।

দ্বিতীয় কমিটির মতামত পাওয়ার পর তা নিয়ে জাতীয় সংসদে আলোচনা হবে। দুই তৃতীয়াংশ এমপির মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণ সাপেক্ষে বিচারপতির সাজার বিষয়ে প্রস্তাব পাস হলে তা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে।   

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, খসড়া এই আইনে অভিযুক্তের আত্মপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এছাড়া অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হলে অভিযোগকারীর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগকারীকে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। এই আইন সুলিখিত ও ভারসাম্যপূর্ণ। বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের আইন আছে। ১৯৭২ সালের সংবিধানেও এ সংক্রান্ত আইনের কথা বলা আছে।

এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এই আইনের মাধ্যমে ’৭২ এর সংবিধানের ৯৬ (৩) অনুচ্ছেদ ফেরত আসছে। ’৭৭-’৭৮ সালে এই অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত করে সুপ্রিম জুডিশিয়াল আইন করা হয়। ওই আইনের মাধ্যমে অসম্মানজনকভাবে বিচারপতিদের বিচার করা হতো। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও ছিল না। তাই এই অসম্মান দূর করতে আমরা নতুন আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছি।

নতুন আইনের বিষয়ে বিচারপতিদের মতামত নেওয়া হয়নি কেন- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, গত ২ মার্চ আইনের খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে তার মত জানতে চাওয়া হয়। তবে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে আগামী মাসে শুনানি থাকায় তিনি মতামত দেননি।

আরও পড়ুন- 

কাশিমপুর কারাগারের সামনে সাবেক রক্ষীকে গুলি করে হত্যা

ত্রিমুখী চাপে বিএনপি, ঝড়ের পূর্বাভাস!

 

 

/ওএফ/এফএস/এপিএইচ/  

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হিউস্টনের ঝড়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা!
হিউস্টনের ঝড়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে শঙ্কা!
অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ৪
অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় মিয়ানমারের নাগরিকসহ আটক ৪
মেধাবী দুই বোনের স্বপ্ন পূরণে ‘বাধা’ আর্থিক সংকট
মেধাবী দুই বোনের স্বপ্ন পূরণে ‘বাধা’ আর্থিক সংকট
জুভেন্টাসকে শিরোপা জিতিয়েও যে কারণে চাকরি হারালেন অ্যালেগ্রি 
জুভেন্টাসকে শিরোপা জিতিয়েও যে কারণে চাকরি হারালেন অ্যালেগ্রি 
সর্বাধিক পঠিত
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
অতিরিক্ত ডিআইজি মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ ইসির
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজ নোঙর করতে দেয়নি স্পেন
ইসরায়েলগামী অস্ত্রের জাহাজ নোঙর করতে দেয়নি স্পেন
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক
দাম কমেছে সবজি-মাংসের, তবু পরিস্থিতি অস্বাভাবিক
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির