আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, এই সরকার নিম্ন আদালতের বিচারকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। সহকারী বিচারকদের চাকরির শুরুতে অন্যান্য সুবিধা বাদ দিয়ে শুধু বেতন ছিল ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। সেই বেতন বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৩৪ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। জ্যেষ্ঠ জেলা জজের বেতন ছিল ৪০ হাজার টাকা, যা বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৭৮ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আইন সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ) কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আলোচনাকালে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদেরও বেতন বেড়েছে। প্রধান বিচারপতির আগে বেতন ছিল ৫৬ হাজার টাকা, তা এখন বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ১০ হাজার টাকায় দাঁড়িয়েছে। আপিল বিভাগের বিচারপতিদের বেতন ৫৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিদের বেতন ৪৯ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৬ হাজার টাকা করা হয়েছে।
এভাবে বিচারক ও বিচারপতিদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ শর্ট, মিড ও লং- এই তিন পদ্ধতিতে আদালতে মামলা জট কমাতে সরকার তথা আইন মন্ত্রণালয়ের সফলতা তুলে ধরেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তুলে ধরেন বিগত চার বছরে বিচার বিভাগে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের নানা দিক।
আনিসুল হক বলেন, গত চার বছরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সরকারেরর অনেক সাফল্য রয়েছে। আমি সব সাফল্য নিয়ে কথা না বললেও আমার আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু সাফল্য আপনাদের তুলে ধরছি। ২০০৭ সালের ১ নভেম্বর যখন বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ করা হয় সেই সময় বিচার বিভাগের সাংঘাতিক লজিস্টিক সাপোর্ট এবং অবকাঠামোর অভাব ছিল। আজকে যে ৩৩ লাখ মামলা বিচারাধীন রয়েছে তার অন্যতম কারণ আদালতে বিচারকদের বসার স্থানের অভাব দেখা দেওয়া। এর প্রেক্ষিতে দেশের সব জেলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজিএম) ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করি। দেশের ৪২টি জেলায় এই ভবন নির্মাণ হয়, যার মধ্যে ২০টি জেলায় ভবন নির্মাণ শেষ, অন্যগুলোও শেষের পথে। এছাড়া জেলা জজ ভবনগুলোও উর্ধ্বমুখী করার চেষ্টা চলছে।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের (এলআরএফ) সভাপতি আশুতোষ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক সভাপতি এম. বদি-উজ-জামান, সহ সভাপতি মাশহুদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম পান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।