ফেনীর সোনাগাজীতে এক চিকিৎসকের চেম্বারে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠেছে ইকবাল হোসেন নামের স্থানীয় এক যুবদলের নেতা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে উপজেলার বগাদানা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের চক্ষু চিকিৎসক গোলাম রসুলের চেম্বারে এ ঘটনা ঘটে। এতে চিকিৎসকের বোনসহ দুজন আহত হয়েছেন।
অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন সোনাগাজী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও আড়কাইম গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির আব্দুল খালেকের ছেলে।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিকিৎসক গোলাম রসুল প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতে বগাদানা ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে নিজ বাড়ির চেম্বারে রোগী দেখছিলেন। রোগী দেখা অবস্থায় যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী নুর হায়দার চিকিৎসকের চেম্বারে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এতে চিকিৎসকের সহকারী রুবেল একটু অপেক্ষা করতে অনুরোধ করলে ইকবাল, তার সহযোগী নুর হায়দার বিতর্কে জড়ান। একপর্যায়ে চেম্বারে প্রবেশ করে চিকিৎসকের সঙ্গে অশোভন আচরণের পাশাপাশি চেম্বারের চেয়ার, দরজা-জানালা, সিসিটিভি ক্যামেরা, মনিটর, সিলিং ফ্যানসহ ঘরের আসবাব ভাঙচুর করেন। এ সময় বাড়িতে থাকা চিকিৎসকের বড় বোন বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক বিবি মরিয়ম ও চিকিৎসকের সহকারীকে মারধর করেন তারা। শেষে যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন তার অনুমতি ছাড়া চেম্বার না খুলতে ওই চিকিৎসককে হুমকি দেন।
চিকিৎসক গোলাম রসুল বলেন, ‘মাসখানেক আগে কয়েকজন নেতা চেম্বারে এসে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে কয়েকজন যুবদল নেতাকর্মী আমার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন। তারা আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং চেম্বার ও বাড়িতে ভাঙচুর-লুটপাট চালান।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুবদল নেতা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ওই চিকিৎসকের কাছে চাঁদা দাবি করা হয়নি। রোগীর সিরিয়াল নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে আমার সহযোগীরা তার চেম্বারে ভাঙচুর করেছেন।’
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজিদ আকন্দ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত চিকিৎসকের পক্ষ থেকে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। এরপর এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেবো আমরা।’