বিচারাধীন ও আদালতের কথোপকথন বিষয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিবৃতিটি অবিলম্বে প্রত্যাহার চেয়েছে আইন, আদালত ও সংবিধান বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএফ)।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এলআরএফ- এর সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরন ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রাজু স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১৬ মে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে হাইকোর্ট বিভাগ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করলেও তা ২১ মে সংশোধন করেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। সংশোধনীর পর গণমাধ্যমকর্মীরা আগের মতোই আদালতের বিচারাধীন বিষয় ও কথোপকথন নিয়ে রিপোর্ট করে আসছে। তবে এরও আগে গত ৯ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এক সৌজন্য সাক্ষাতে এলআরএফ নেতৃবৃন্দকে বলেছিলেন, ‘আদালতে যা দেখবেন তাই লিখবেন।’ এরপর প্রেস কাউন্সিলের এরকম বিবৃতি দেওয়ার অবকাশ নেই বলে মনে করে এলআরএফ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এলআরএফ সবসময় বিচার বিভাগ ও আদালতের মর্যাদা, ভাবমূর্তি ও সুনাম অক্ষুন্ন রেখে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। প্রকাশ্য আদালতে কী ঘটছে সে বিষয়ে জনগণকে সঠিক তথ্য জানানো গণমাধ্যমকর্মীদের দায়িত্ব বলে মনে করে এলআরএফ। কারণ, তথ্য জানার অধিকার জনগণের রয়েছে। আদালত অঙ্গনে পেশাগত এই দায়িত্বই পালন করছে গণমাধ্যমকর্মীরা। এমতাবস্থায় অবিলম্বে ওই বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে এলআরএফ। অন্যথায় স্বাধীন সাংবাদিকতার স্বার্থে এলআরএফ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
এছাড়াও প্রেস কাউন্সিলের ওই বিবৃতিতে হাইকোর্টের রায়ের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অপ্রত্যাশিত মনে করে এলআরএফ। তাই প্রেস কাউন্সিলের বিবৃতির তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
পরে বিবৃতির বিষয়ে এলআরএফ- এর সভাপতি ওয়াকিল আহমেদ হিরন ও সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আহসান রাজু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রেস কাউন্সিলের এমন বিবৃতি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কণ্ঠরোধের শামিল। হাইকোর্টের রায়ে এমন কোনও নির্দেশনা নেই। তবে হাইকোর্টের ওই রায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সংবাদ প্রকাশে সতর্ক ও দায়িত্বশীল হতে বলা হয়েছে।
