X
শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
১৫ আশ্বিন ১৪৩০

‘পাকিস্তান শত চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুকে দাবায় রাখতে পারেনি’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৯ নভেম্বর ২০১৯, ০১:৩২আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০১৯, ১১:০৯

‘পাকিস্তান শত চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুকে দাবায় রাখতে পারেনি’ বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু দৃঢ় সংকল্প ছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তান কখনওই চায়নি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হোক। কারাগারে থাকা অবস্থায় তার মনোবল ভাঙ্গার জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কিছুই তাকে দাবায় রাখতে পারেনি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) ঢাকা লিট ফেস্টের দ্বিতীয় দিনে আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে ‘শেখ মুজিব: আইকন অব পোস্ট-কলোনিয়াল লিবারেশন’ শীর্ষক আলোচনায় এমনটাই বলেন ভারতীয় লেখক ও রাজনীতিক শশী থারুর।

তিনি বলেন,  দেশভাগের পরবর্তী ব্যবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন একজন নেতা হিসেবে আবির্ভুত হলেন, সেই নেতা সেই ব্যবস্থায় একমাত্র ছিলেন যিনি কিনা জাতীয় পরিচয়ের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। অনেক সংগ্রামের মাধ্যমে সেসময় তার ভিশনের মধ্যে ছিল স্বাধীন একটি রাষ্ট্রের চিন্তা, যা বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশের অনুপ্রেরণা জাগায়। মুজিবের চারটি মূলনীতি আসলেই বারবার কাজ করেছিল। জাতীয়তাবাদকে তিনি আসলেই বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র এবং গণতন্ত্রকে বুঝাতে চেয়েছিলেন। তিনি এই বিষয়গুলো নিয়ে জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত সংগ্রাম করে গেছেন। এই চারটি মূলনীতি তার ধারণার মধ্যে সবসময় ছিল যা ঔপনিবেশিক কাল পরবর্তী ব্যবস্থার সঙ্গে খুবই প্রাসঙ্গিক ছিল।

‘পাকিস্তান শত চেষ্টা করেও বঙ্গবন্ধুকে দাবায় রাখতে পারেনি’ শশী থারুর আরও বলেন,  ১৯৭০ সালে যখন নির্বাচন হলো তখন সংখ্যাগরিষ্ঠতায় জয় লাভ করলো। এই নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তান মাত্র দুটি আসনে জয় লাভ করতে পেরেছিল। তখন পুরো পশ্চিম পাকিস্তান এক হয়ে বলেছিল বঙ্গবন্ধুকে প্রধানমন্ত্রী বানানো যাবে না। তখন চুড়ান্ত যুদ্ধ একটি প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। গ্রেফতার হওয়ার আগেই বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও নির্দেশনামূলক। তার ভাষণে পরিষ্কারভাবেই তিনি বলেছেন বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তির সংগ্রাম করতে হবে। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পরও তার মনোবল ভাঙার অনেক ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছিল। এমনকি তাকে যেকোনো সময় ফাঁসি দেওয়া হবে এমন কথাও বলা হয়েছিল। তার ওপর এক ধরনের মানসিক চাপ দেওয়া হয়েছিল। তিনি এসব সহ্য করে নায়কের বেশে জেল থেকে মুক্তি পেয়ে দেশে ফিরেছিলেন।

এসময় আলোচনায় আরও অংশ নেন-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও লেখক আফসান চৌধুরী এবং  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল চৌধুরী। আলোচনা সঞ্চালনা করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের উপ উপাচার্য অধ্যাপক সামসাদ মর্তুজা।

আফসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু নিজে মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিলেন। এজন্য তিনি সাধারণ মধ্যবিত্তদের বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতেন। একইসঙ্গে কোন বিষয়কে কীভাবে উপস্থাপন করতে হবে, সেটি তিনি খুব ভালোভাবে বুঝতেন, যা অন্য অনেক নেতা সেভাবে বুঝতেন না। এই জায়গা থেকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের একটি বড় সাপোর্ট পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু এবং সেটিকে তিনি সফলভাবে ব্যবহার করেছেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী পালন নিয়ে কামাল চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু রাজনীতির কবি। তাকে এই উপাধি বাঙালিরা দেয়নি, দিয়েছে বিশ্ব। আর এই বিশ্ব নেতার শততম জন্মবার্ষিকী শুধু দেশেই নয়,  আন্তর্জাতিকভাবে পালন করা হবে।

 ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

 

/এসও/এফএএন/
সম্পর্কিত
পর্দা নামলো ঢাকা লিট ফেস্টের নবম আসরের
‘সুবিধা সবসময় নেতিবাচক নয়’
‘ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশদের নিয়ে পুরো বিশ্ব হাসছে’
সর্বশেষ খবর
ডেঙ্গুতে আরও ১৪ মৃত্যু 
ডেঙ্গুতে আরও ১৪ মৃত্যু 
এশিয়ান গেমসে চমক দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের সেলিম
এশিয়ান গেমসে চমক দেখাচ্ছেন বাংলাদেশের সেলিম
বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা জহর লালের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ
বোনকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা জহর লালের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ
প্রতি বছর ২ কোটিরও বেশি মানুষ হৃদরোগে মারা যায়
প্রতি বছর ২ কোটিরও বেশি মানুষ হৃদরোগে মারা যায়
সর্বাধিক পঠিত
মেনেনডেজকে দিয়ে লবিস্ট গ্রুপ কি আরও কাজ করিয়েছিল?
মেনেনডেজকে দিয়ে লবিস্ট গ্রুপ কি আরও কাজ করিয়েছিল?
শর্ত মেনে বিদেশ যেতে ‘রাজি নন’ খালেদা জিয়া
শর্ত মেনে বিদেশ যেতে ‘রাজি নন’ খালেদা জিয়া
অচলের পথে মার্কিন সরকার
অচলের পথে মার্কিন সরকার
সাকিবের ইনজুরি নিয়ে নানা মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মাশরাফি
সাকিবের ইনজুরি নিয়ে নানা মন্তব্যে ক্ষুব্ধ মাশরাফি
একই সময়ে একই হাসপাতালে মারা গেলেন প্রবীণ দুই এমপি
একই সময়ে একই হাসপাতালে মারা গেলেন প্রবীণ দুই এমপি