X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য ‘ডে-কেয়ার মডেল’ কার্যকর

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৩আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৯:৪৬

নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য  ‘ডে-কেয়ার মডেল’ কার্যকর

‘নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু, তাদের পরিবারের সদস্য এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য ডে-কেয়ার মডেল একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি’ এমনটা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেনটাকি’র অধ্যাপক জর্জ ফুশ।

রবিবার (১ ডিসেম্বর) সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ব্যাসেল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেনটাকি’র সহযোগিতায় ঢাকার আইসিডিডিআরবিতে নিউমোনিয়া চিকিৎসার গবেষণা ফলাফল নিয়ে অনুষ্ঠিত  সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডে-কেয়ার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিশুদের তীব্র নিউমোনিয়ার  উদ্ভাবনমূলক চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে গবেষণার ফল তুলে ধরে বিজ্ঞানীরা জানান, মডেলটি নিউমোনিায়ায় আক্রান্ত শিশুদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে অক্সিজেন থেরাপি, ফ্লুইড, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা এবং অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত চিকিৎসার ব্যবস্থার মতোই কার্যকর, নিরাপদ এবং বেশ ব্যয় সাশ্রয়ী।

বাংলাদেশে বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে ডে-কেয়ার ধারণাভিত্তিক নিউমোনিয়া ব্যবস্থাপনার এই পদ্ধতিটি বেশ সম্ভাবনাময় বলেও জানান তারা।

সেমিনারে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী প্রতিবছর ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা প্রায় ১২ কোটি বার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশের বেশি তীব্র আকার ধারণ করে এবং হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে ২০১৮ সালে প্রতি ঘণ্টায় একটিরও বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়, যার ফলে ওই একবছরে ১২ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়। একইসঙ্গে, শিশুদের অপুষ্টি একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। এটি নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় আশানুরূপ ফল না পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।

সেমিনারে জানানো হয়, হাসপাতালে ভর্তি তীব্র নিউমোনিয়ার একটি অনুমোদিত চিকিৎসা ব্যবস্থা হলেও, বেশিরভাগ নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে সাধারণত তীব্র নিউমোনিয়া বা অপুষ্টিতে আক্রান্ত সব শিশুকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সংখ্যক শয্যা ও হাসপাতাল থাকে না। তাই বিশ্বব্যাপী গুরুতর অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও যেসব শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা সম্ভব হয় না তাদের জন্য ‘ডে-কেয়ার মডেল’-এর মতো বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে গবেষণা হচ্ছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘তীব্র নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ডে-কেয়ার মডেলের ধারণা একটি ভালো উদ্যোগ। ভবিষ্যতে দেশব্যাপী এই মডেলটি প্রসারের জন্য আমরা শহর ও গ্রামাঞ্চলে এর পাইলট প্রকল্পের সম্ভাব্যতা খুঁজে দেখবো।’

আইসিডিডিআর-বি’র এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ও গবেষেণাটির প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. নুর হক আলম ২০১৫ থেকে ২০১৯  সাল পর্যন্ত এই গবেষণা করেন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. খালেদা ইসলাম কীভাবে এই মডেলটিকে সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সন্নিবেশিত করা যায়, সেসম্পর্কে তার অভিমত ব্যক্ত করেন।

ইউনিসেফ, ইউবিএস অপটিমাস ফাউন্ডেশন, বটনার ফাউন্ডেশন, ইগল ফাউন্ডেশন, আইসিডিডিআর-বি এবং বাংলাদেশ সরকার এই গবেষণা পচিালনায় সহায়তা করে।

/জেএ/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ