যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর ও শেরে বাংলা নগর থানায় পৃথক তিনটি মামলা করেছে র্যাব। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি এবং আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) শেরে বাংলা নগর থানায় অস্ত্র আইনে একটি ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রিমান্ড চেয়ে পাপিয়াকে আদালতে তোলা হয়েছে।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সুজয় সরকার বলেন, পাপিয়ার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে আরও একটি মামলা করা হবে। সেটি সিআইডি সঙ্গে র্যাব আলোচনা করে করবে।
২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়া ওরফে পিউসহ চার জনকে গ্ররফতার করে র্যাব। বাকিরা হলো, পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)। এরপর রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে ও নরসিংদীতে বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়িসহ তাদের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
র্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল শাফী উল্লাহ বুলবুল বলেন, রবিবার সকালে ইন্দিরা রোডে পাপিয়ার বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দু’টি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশকিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া ফার্মগেটে পাপিয়ার দু’টি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট, নরসিংদী শহরে দু’টি ফ্ল্যাট, চারটি বিলাসবহুল গাড়ি এবং গাড়ি ব্যবসায় প্রায় দেড় কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, বিভিন্ন দেশের ব্যাংকে নামে-বেনামে অনেক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ অর্থ থাকার কথা জানা গেছে।
পাপিয়া ও তার স্বামী মতি সুমন রেলওয়ে পুলিশের এসআইয়ে চাকরির প্রলোভনে ১১ লাখ টাকা, একটি কারখানায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কথা বলে ৩৫ লাখ টাকা, একটি সিএনজি পাম্পের লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে ২৯ লাখ টাকা নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর বাইরে নরসিংদী এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদক ও অস্ত্র ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন:
আদালতে পাপিয়া, ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন