সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এমএস (মাইল্ড স্টিল) রডের দাম অস্বাভাবিক বৃদ্ধির অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কন্সট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রিজ (বিএসিআই)। সংগঠনটি বলছে, সিন্ডিকেট করে বর্তমান বাজারে এমএস রডের দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে নির্মাণ বাধাগ্রস্ত হবে। যার কারণে এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৫০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার এসএম খোরশেদ আলম বলেন, দেশের নির্মাণখাত ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করে থাকে। কিন্তু গত বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে এমএস রডের মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে এই শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এমএস রড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যে কারণ উল্লেখ করেছে তা হলো- করোনা পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ স্ক্র্যাপ পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিলেট উৎপাদন কম। সে কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে। একই কারণে স্থানীয় এমএস রড তথা ইস্পাত সামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এমএস রডের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিলেট দেশে উৎপাদিত হয় এবং বিদেশ থেকেও আমদানি করা হয়ে থাকে। বর্তমান দেশে অনেকগুলো এমএস রড প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং দেশের চাহিদা মেটাচ্ছে। চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের কোনও ঘাটতি নেই। নতুন করে সরকারিভাবে কোনও প্রকার শুল্ক বৃদ্ধি করাও হয়নি। বিলেটের/স্ক্র্যাপের মূল্য বৃদ্ধিতে যে পরিমাণ রডের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেটা খুব অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে। অতএব, এমএস রডের মূল্য বৃদ্ধিটা যৌক্তিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে।
খোরশেদ আলম আরও বলেন, যে কোনও অবকাঠামো নির্মাণ কাজে প্রধান উপাদান এমএস রড। সম্পূর্ণ কাজের মধ্যে রড জাতীয় কাজের পরিমাণ হয় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। তাই এমএস রডের মূল্য বাড়লে পুরো স্থাপনার নির্মাণ ব্যয় বেড়ে যায়। ফলে হঠাৎ করে এমএস রডের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের পক্ষে চলমান কাজ চালিয়ে নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমরা এমএস রডসহ সব সামগ্রীর মূল্য হিসাব করে টেন্ডারে দর উল্লেখ করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কার্যাদেশ পেয়ে থাকি। সাধারণত সরকারি তহবিলের সব কাজ নির্ধারিত দরে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। তাই নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বাড়লে আমরা সরকার থেকে কোনও প্রকার মূল্য সমন্বয় পাই না।