নদীর পাড়ের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে ‘রিভার টকিজ’ শুরু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে নদীর পাড়ের মানুষের নদী নিয়ে ভাবনা, নদী দখল-দূষণ ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করবে ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ কনসোর্টিয়াম। মঙ্গলবার (৮ জুন) বসিলার বুড়িগঙ্গা নদী এবং তুরাগ নদের মিলনস্থলে মাদবরের ভিটা দ্বীপে এই উদ্যোগের প্রথম আলোচনা হয়।
ওয়াটার কিপার্স বাংলাদেশ এর সমন্বয়ক এবং ব্লু প্ল্যানেট ইনিশিয়েটিভের নির্বাহী পরিচালক শরীফ জামিলের সঞ্চালনায় ‘নদী তীরবর্তী ঢাকার নগরায়ণ’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত এই টকিজে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ড. আদিল মোহাম্মদ খান, পরিকল্পনাবিদ সারাফ আনজুম দিশা।
দূষণবিরোধী প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে ইউএসএআইডি, এফসিডিও এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় দূষণবিরোধী অ্যাডভোকেসি প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি কনসোর্টিয়াম গঠন করা হয়। এই কনসোর্টিয়ামে বিপিআই এর অন্তর্ভুক্ত সংগঠন হলো ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ এবং স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস)। নদী দূষণ রোধে পরিচালিত এই রিভার টকিজটিতে নদী তীরবর্তী ঢাকার নগরায়ণ প্রক্রিয়া, তার ইতিহাস ও বৈশিষ্ট্য, বুড়িগঙ্গাসহ ঢাকার চারপাশের নদীর দূষণ এবং ঢাকা নগরীতে দূষণের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হয়। রিভার টকিজে নদী ও নদীসংশ্লিষ্ট মানুষের জীবন জীবিকার কথা তুলে ধরেন শরীফ জামিল।
বক্তারা বলেন, নদী দূষণকারীরা তাদের আবর্জনা ফেলে দিচ্ছে নদী তলদেশে। ফলে বছর শেষে নদীসহ জলজ জীবনের বেঁচে থাকার জন্য নদীর জলে কোনও দ্রবীভূত অক্সিজেন থাকছে না। বুড়িগঙ্গা নদীর দূষণের প্রায় পঞ্চাশভাগ দূষণই হাজারীবাগের দুই শতাধিক ট্যানারি শিল্প এবং শ্যামপুরের এক শতাধিক ডায়িং কারখানা থেকে উৎসাতির। রাজধানীর সঙ্গে পুরো দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগের বৃহত্তম কেন্দ্র হলো বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট বন্দর। প্রতিদিন এ টার্মিনাল ব্যবহার করে লাখ লাখ মানুষ যাতায়াত ও পণ্য পরিবহন করে থাকে। বুড়িগঙ্গা নদীর সদরঘাট এলাকাটি নৌযান থেকে নির্গত দূষণের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।