X
বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩
৮ চৈত্র ১৪২৯

‘দেশে টেলিভিশনের বাজার ২০২৫ সালে হবে ৯৪০ মিলিয়ন ডলার’

ঢাবি প্রতিনিধি
২৪ নভেম্বর ২০২১, ১৮:২৮আপডেট : ২৪ নভেম্বর ২০২১, ১৮:২৮

বাংলাদেশে মোট বিক্রিত ইলেকট্রনিক্স পণ্যের মধ্যে টেলিভিশনের বাজারের আকার ৩০.০৩ শতাংশ। ২০২০ সালে টেলিভিশনের বাজারের আকার ছিল ৬৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৯৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সেমিনার কক্ষে 'মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশ' আয়োজিত বাংলাদেশে টেলিভিশন শিল্পের উপর গবেষণা কার্যক্রমের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানানো হয়।

মার্কেটিং ওয়াচের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও বিভাগের অধ্যাপক ড. রাজিয়া বেগম এবং ড. আবুল কালাম আজাদ। গবেষণার ফল উপস্থাপন করেন সংগঠনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নাজমুল হুসেইন।

গবেষণাপত্রে টেলিভিশন শিল্পের হুমকিস্বরূপ 'গ্রে মার্কেট'র (অননুমোদিত পণ্যের বাজার) কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বিভিন্ন অননুমোদিত মাধ্যমে যে টেলিভিশন আনা হয় এটা বাজারের ১০-১২ শতাংশ দখল করে আছে। আর ৮ থেকে ১০ শতাংশ রয়েছে স্টিকারভিত্তিক। অর্থাৎ মোট ২০ শতাংশ নকল বা অননুমোদিত টেলিভিশন বাজারে রয়েছে। এতে বলা হয়, সর্বনিম্ন ৭০ শতাংশ আর সর্বোচ্চ ৮১ শতাংশ পর্যন্ত ব্যবহারকারী দেশীয় টেলিভিশনগুলোতে সার্বিকভাবে কোনও সমস্যা না থাকার কথা জানিয়েছেন।

গবেষণাপত্রে বেশ কয়েকটি সুপারিশ করা হয়। সেগুলো হলো- উচ্চবিত্ত ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে দেশি ব্র‍্যান্ডগুলোর মাল্টিব্র্যান্ডিং পদ্ধতি অনুসরণ করা, লেটেস্ট ফিচার যোগ করা, ওয়ারেন্টি অনুযায়ী কাস্টমার সেবা প্রদান করা, অনলাইন মার্কেটিং, ফ্রিইনসটলেশন ও ডেলিভারি, ইএমআই সুবিধা প্রদান করা, ক্রেতাদের অভিযোগ শোনার জন্য ২৪/৭ কলসেন্টার এবং চ্যাটবটের মতো উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা এবং গবেষণা ও উন্নয়নে অধিক বিনিয়োগ করা।

দেশীয় টেলিভিশন শিল্পের বিকাশে সরকারের করণীয় সম্পর্কে গবেষণাপত্রে বলা হয়, নকল টিভির আমদানি সংযোজন ও বিক্রি বন্ধ করা, গ্রে-মার্কেটকে নিরুৎসাহিত করার জন্য বিদেশি টিভির ওপর বর্ধিত করোরোপসহ কর আদায়নিশ্চিত করা, দেশীয় শিল্পকে উৎসাহিত করতে টিভি তৈরির সরঞ্জাম ও কাঁচামাল আমদানিতে কর কমানো এবং রফতানি প্রক্রিয়া সহজীকরণ এবং রফতানিকারকদের আর্থিক প্রণোদনার ব্যবস্থা করা।

এই বছরের মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত দেশব্যাপী একটি গবেষণাকার্য পরিচালনা করে সংগঠনটি। গুণগত এবং সংখ্যাগত উভয় পদ্ধতিতে গবেষণা কার্যটি পরিচালনা করা হয়। এতে প্রধানত প্রাথমিক উপাত্ত এবং কিছুটা সেকেন্ডারি উপাত্ত ব্যবহার করা হয়েছে। গবেষণা পরিচালনার জন্য জরিপ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এতে ২৪৩৯ জন উত্তরদাতাকে আটটি বিভাগ থেকে নির্বাচন করা হয়। উত্তরদাতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক নমুনায়ন পদ্ধতি প্রয়োগ করা হয়।

/এমএস/
সর্বশেষ খবর
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নগদ বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে: পলক
আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে নগদ বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছে: পলক
গায়ে ধাক্কা লাগায় দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
গায়ে ধাক্কা লাগায় দুই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
আজ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস
আজ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস
পানি সংকট মোকাবিলায় যুগান্তকারী পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
নিউ ইয়র্কে পানি সম্মেলনের উদ্বোধনপানি সংকট মোকাবিলায় যুগান্তকারী পদক্ষেপের আহ্বান জাতিসংঘের
সর্বাধিক পঠিত
শাকিবের লাল গাড়ি উপহার, বুবলী-বীরের উচ্ছ্বাস
শাকিবের লাল গাড়ি উপহার, বুবলী-বীরের উচ্ছ্বাস
অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগ, বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা
অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগ, বিচারকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা
অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে জাল নোট, মিলছে হোম ডেলিভারিও
অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে জাল নোট, মিলছে হোম ডেলিভারিও
রেললাইনে উঠে পড়া বাসটিকে ২০০ গজ টেনে নিয়ে গেলো ট্রেন
মালিবাগে বাস-ট্রেন সংঘর্ষরেললাইনে উঠে পড়া বাসটিকে ২০০ গজ টেনে নিয়ে গেলো ট্রেন
বিয়েতেও প্রতারণা করেছিলেন আরাভ, খোঁজ নেই প্রথম স্ত্রীর
বিয়েতেও প্রতারণা করেছিলেন আরাভ, খোঁজ নেই প্রথম স্ত্রীর