দেশজুড়ে জেঁকে বসে শীত, কমছে তাপমাত্রা। কোথাও কোথাও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে প্রয়োজন শীতের কাপড়। বাজারে তাই এখন শীতের পোশাক কিনতে উপচে পড়া ভিড়। কিন্তু কাপড়ের বাজারে বিরাজ করছে দামের ‘গরম’। ক্রেতাদের অভিযোগ— এবার শীত পোশাকের দাম আগের তুলনায় বেশি। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে তাদেরকে বেশি দাম দিয়ে কিনতে হয়েছে। তাই দামে একটু বেশি মনে হচ্ছে ক্রেতাদের। রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) নিউমার্কেট এলাকা থমথমে থাকার কথা। কারণ, আজ এ এলাকার মার্কেটগুলোর সাপ্তাহিক ছুটি। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো উল্টো চিত্র। সব মানুষের ভিড় যেন এসে মিশেছে শীতের কাপড়ের দোকানে। নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাত এবং দোকান— দুই জায়গাতেই শীতের কাপড়ের জন্য ঝুঁকছে সাধারণ মানুষ। বেশিরভাগই পরিবার নিয়ে শীতের কাপড় কিনতে এসেছেন, সঙ্গে আছে শিশুও।
সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকা থেকে ঢাকা কলেজের দিকে হাঁটতে হাঁটতে দেখা যায়, শীতের পোশাক কেনার ধুম। পোশাকের মধ্যে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে জ্যাকেট, সোয়েটার, হুডি, হাত মোজা ও কানটুপি। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ দাম তুলনামূলক বেশি।
নুরজাহান সুপার মার্কেটের সামনের ফুটপাতে একটি সোয়েটারের দর দাম নিয়ে দোকানির সঙ্গে ক্রেতার রীতিমতো ঝগড়া হয়। সামনে গিয়ে দেখা গেলো— বিক্রেতা একটি সোয়েটারের দাম চেয়েছেন এক হাজার ৫০০ টাকা। ক্রেতার দাবি, তিনি গত বছর সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা দিয়ে একই ধরনের সোয়েটার কিনেছিলেন। ক্রেতা দারুক বলেন, ‘কয়েকটি দোকানে শীতের কাপড়ের দাম অনেক বেশি দেখে ফুটপাতে আসলাম। এখানেও দেখি দাম মাত্রাতিরিক্ত। বাচ্চাদের সোয়েটার ৫০০ টাকার নিচে নেই। হাতকাটা জ্যাকেট ৮০০ টাকার কমে কেউ দেয় না। আর ফুল জ্যাকেট ১৫০০-৩০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাম চাচ্ছে।’
বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি বাজারেই কেনাকাটায় দাম বেশি পড়েছে। এ কারণে খুচরা বাজারেও পোশাকের দাম বেশি। নুরজাহান সুপার মার্কেটের বিক্রেতা জসীম বলেন, ‘যেখান থেকে মাল আসে, সেখানেই দাম বেশি। আমরা তো অল্প লাভে বিক্রি করি। তবে বিক্রির পরিমাণ ভালো।’
রামপুরা থেকে কাপড় কিনতে আসা গৃহিণী ফেরদৌসি জানান, শীতের পোশাকের দাম আসলেই একটু বেশি মনে হচ্ছে। তারপরও প্রয়োজনের খাতিরে কিনতে হচ্ছে। দামদর করে যতটুকু কমানো যায় আর কি।’
বিক্রি বেড়েছে শীত নিবারণের কানটুপি এবং হাতমোজার। কান টুপি বিক্রেতা ইব্রাহীম জানান, চাহিদা আছে ক্রেতা মোটামুটি। সন্ধ্যার পর কাস্টমার বাড়ে। দাম মোটামুটি কমই আছে। ১০০-২০০ টাকার মধ্যেই ভালো কানটুপি পাওয়া যায়।