X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১
পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার

তদন্ত নিয়ে অস্পষ্টতায় কর্মকর্তারা

উদিসা ইসলাম
২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ১৬:৫৯আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০১৬, ১৭:০৪

মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধীদের তদন্ত বা বিচার প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন হবে সে বিষয়ে তদন্তকারীদেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। সম্প্রতি তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান খান ১৯৫ জনের বিচারে তদন্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের ঘোষণা দিলেও কোন প্রক্রিয়ায় এসব যুদ্ধাপরাধীকে বিচারের আওতায় আনা হবে সে নিয়ে তদন্ত কর্মকর্তাদের কোনও একক ধারণা নেই, প্রক্রিয়া জানতে চাইলে এখনও তাদের একেক জনের একেক মত।

চিহ্নিত পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের কয়েকজন

তদন্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এবিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তারা কোনও এক কারণে বিষয়টি নিয়ে জনসম্মুখে বলতে পারছেন না। ইতোমধ্যে এ মামলা তদন্তে ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দেওয়া হলেও কমিটি কেবল মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর তালিকা ও কিছু দালিলিক প্রমাণ জোগাড় করছেন যেগুলো আগে থেকেই আছে।

কীভাবে হবে ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচার প্রক্রিয়া প্রশ্নে হান্নান খান বলেন, বিচারের পদ্ধতি একটাই। আমাদের আইনে এই বিচারে কোনও বাধা নেই। আইনের তিন ধারায় বলা হচ্ছে একটা দল, আর্মফোর্স এর লোক এবং তাদের সহকারী যারা ছিল তারা এবং ইরেসপেকটিভ অব ন্যাশনালিটির ক্ষেত্রে বিচারের আওতায় আনা যাবে। আমরা এখন পর্যন্ত যেটা মনে করছি, এই যুদ্ধাপরাধীদের অনুপস্থিতিতে বিচার করব।

যুদ্ধাপরাধী মামলার বিস্তারিত তদন্তের জন্য ৫ সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছে সংস্থার উপ-পরিচালক মতিউর রহমানকে। অন্য চার সদস্য হচ্ছেন উপ-পরিচালক হেলাল উদ্দিন এবং তিন সহকারী পরিচালক নূরুল ইসলাম, মনোয়ারা বেগম ও আব্দুর রাজ্জাক খান। পাকিস্তানের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করবে কমিটি। এই সদস্যদের মধ্যে অন্যতম কর্মকর্তা বলেন, অনুপস্থিতিতে বিচারের মতো কোনও বিষয় নেই। যেহেতু দুইটা দেশ। পাকিস্তান বিচার করতে চাইলেও করেনি। এখন আমরা সব কাগজপত্র জোগাড় করে আইসিসিতে পাঠিয়ে দিতে পারি।হেগ আদালতে এই মামলা পরিচালনার সুযোগ আছে।

যদিও কমিটির কেউ এবিষয়ে এখন বিস্তারিত বলতে রাজি নন। কমিটির প্রধান মতিউর রহমান বলেন, আমরা এখন কমিটির সদস্যরা মিলে এর প্রক্রিয়া নিয়ে আলাপ করার পাশাপাশি দলিল পত্রাদি জোগাড় করছি। তিনি আরও বলেন, আমরা আসলেই বিচারের প্রক্রিয়া নিয়ে নিশ্চিত না। কোন কোন কাগজের ভিত্তিতে বিচার সম্ভব সেগুলো যোগাড় করতে চেষ্টা করবো। ১৯৫ জনের বিচারের ক্ষেত্রে কতজন ইতোমধ্যে নিহত হয়েছে তেমন তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা তারা করেছেন কিনা প্রশ্নে মতিউর বলেন, এখনও পর্যন্ত সেটা করা হয়নি। তবে সম্ভব হলে সে চেষ্টা করতে চাই।

এদিকে কমিটির সদস্য এক তদন্ত কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমার মনে হয় না আমরা এখানে বসে এই বিচার করতে পারবো। এটার জন্য আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হতে পারে। এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হওয়া ভীষণ জরুরি এবং এটা হতেই হবে। সেক্ষেত্রে অনুপস্থিতিতে যেনতেন বিচার করে ফেলাটা মোটেই যৌক্তিক হবে না। একটু চেষ্টা করলে এই মামলায় পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব।

বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে এই অস্পষ্টতা বিষয়ে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, এই বিচার আমাদের আইনেই করা সম্ভব। এর তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। তবে একথা বলতে পারি, আমাদের সাবধানতার সঙ্গে এবং পরিপক্কতার সঙ্গে এই তদন্তটা করতে হবে। কে বেঁচে আছে কে নেই সেটা জানা জরুরি কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, কোনও যুদ্ধাপরাধীকে বিনা বিচারে ক্ষমা করে দিতে পারার কোনও সুযোগ নেই। যে যুদ্ধাপরাধ করেছে তার বিরুদ্ধে সেটার প্রমাণ হাজির করতে পারলে মৃত্যুর পরও তার বিচার হওয়া সম্ভব।

/টিএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ