X
শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
পিকে হালদারের অর্থপাচার

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততা খুঁজছে দুদক

নুরুজ্জামান লাবু
২৪ মার্চ ২০২২, ১৯:০৯আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২২, ২০:১৬

আলোচিত প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারের আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচার কাণ্ডে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের যোগসাজশ খুঁজছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির যুগ্ম পরিচালক ও উপ-পরিচালক পদমর্যাদার পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এই সংস্থা। বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর এবং নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে আড়াই হাজার কেটি লুটপাটের ঘটনায় এসকে সুর এবং শাহ আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তাদের। আগামী ২৯ মার্চ দুই জনকেই সশরীরে দুদক কার্যালয়ে হাজির হয়ে নিজেদের বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের নামে যে প্রক্রিয়ায় ঋণ নিয়ে পাচার করা হয়েছে সেটি দেখভাল করার দায়িত্ব ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে অর্থপাচারের সময় শাহ আলম বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তখন এস কে সুর ছিলেন ডেপুটি গভর্নর। ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক গ্রেফতার হওয়ার পর গত বছরের জানুয়ারিতে আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এস কে সুর ও শাহ আলমের নাম বলেছিল। তার দাবি, নামসর্বস্ব ও অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দেওয়ার নামে তারা নিয়মিত এস কে সুর চৌধুরী এবং শাহ আলমকে ঘুষ দিতেন।

দুদকের একজন কর্মকর্তা মনে করেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা ছাড়া আড়াই হাজার কোটি টাকা পাচার করা সম্ভব নয়। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা এই অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে নিবিড় তদন্তের মাধ্যমে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করছে দুদক। আইনিভাবে এ ঘটনায় সম্পৃক্ত সবার বিরুদ্ধেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চায় এই সংস্থা।

জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের অর্থপাচারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২টি মামলা হয়েছে। এফএএস লিজিংয়ের অর্থ আত্মসাতের ১৩টি মামলা দায়ের হয়েছে। একইসঙ্গে এখন পর্যন্ত ১ হাজার কোটি টাকা সমমূল্যের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে এই দুই প্রতিষ্ঠানের এমডি মো. রাশেদুল হক এবং রাসেল শাহরিয়ারসহ ১২ জন কর্মকর্তা ও ঋণ গ্রাহককে। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে অপর ১০ জন দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ৭৬ জন কর্মকর্তার বিদেশগমনে ইমিগ্রেশনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ৩৩ জন কর্মকর্তা এবং বোর্ড সদস্যদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। এসব মামলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তাকে আসামি করা হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও নির্বাহী পরিচালক শাহ আলম

সূত্র জানায়, ২০১০ সালে পিকে হালদার যখন রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের এমডি ছিলেন, তখন রাশেদুল হক রিলায়েন্স ফাইন্যান্সের ডিএমডি ছিলেন। ২০১৫ সালে পিকে হালদার যখন এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের এমডি হন, রাশেদুল হক তখন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি হিসেবে যোগ দেন। এমডি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই সব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃত্ব নিজের হাতে আনেন তিনি। কোনও ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই ঋণ প্রস্তাবের পরদিনই ঋণ দিয়ে দেন। এভাবে প্রায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানকে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছেন, যার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কোনও মর্টগেজ ছিল না।

দুদকের অনুসন্ধান বলছে– ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে নামসর্বস্ব, কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে ঋণ হিসাবের অনুকূলে ঋণের নামে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্যাপিটাল মার্কেটে সরিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। পিকে হালদারের বন্ধু মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক একেএম শহীদ রেজার স্বার্থসংশ্লিষ্ট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে ১০৪ কোটি টাকা এবং অস্তিত্বহীন প্রতিষ্ঠানের ৭টি ঋণ হিসাব থেকে ৩৩টি চেকের মাধ্যমে ওয়ান ব্যাংক লিমিটেডের গ্রাহক ব্যাংক এশিয়ার সাবেক এমডি ইরফান আহমেদ খানের জেকে ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে পরিচালিত একটি হিসাবে ৭৪ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করা হয়। পিকে হালদার এবং তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ১৪টি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দুটির ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছিল– ৫৬, পুরানা পল্টন লেন, ঢাকা। এ ঠিকানায় ওই দুই প্রতিষ্ঠানের কোনও কার্যালয় ছিল না।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩  জুলাই গ্রিনলাইন ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের প্যাডে মিলন কুমার নামে এক ব্যক্তি ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণের জন্য ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের এমডি’র কাছে আবেদন করেন। লিমিটেড কোম্পানি হলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির কাছে ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের স্মারক ও ফরম-১১৭ সংরক্ষিত নেই, যা ঋণের বিপরীতে আবশ্যকীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হয়। ঋণ আবেদনের কয়েকদিনের মধ্যে সমস্ত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়, যাদের সঙ্গে ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের কোনও ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল না। ২০১৭ সালের ২ আগস্ট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের দশটি চেক ব্যবহার করে জেকে ইন্টারন্যাশনালের ওয়ান ব্যাংকের হিসাবে ২৩ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক একেএম শহীদ রেজা’র স্বার্থসংশ্লিষ্ট ফ্যাশন প্লাস লিমিটেড এবং পদ্মা ওয়েভিং লিমিটেডের নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের দুটি হিসাবে ৭ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া সুব্রত দাশ ও শুভ্রা রাণী দাশের মালিকানাধীন এন্ডবি ট্রেডিংয়ের নামে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের প্রিন্সিপ্যাল শাখার একটি হিসাবে দুটি চেকের মাধ্যমে সাড়ে ৮ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়।

সূত্র জানিয়েছে, আনান কেমিক্যাল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের এমডি অমিতাভ অধিকারী, বর্তমান পরিচালক ও চেয়ারম্যান উজ্জ্বল কুমার নন্দী, পরিচালক অনিতা কর (উজ্জ্বল কুমার নন্দীর স্ত্রী) হলেও এর সুবিধাভোগী ছিলেন পিকে হালদার। ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা ঋণ নিলেও একটি টাকাও ব্যবসার কাজে ব্যবহার না করে সব টাকাই বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তরের মাধ্যমে পরে তুলে নিয়েছেন। আনান কেমিক্যালের নামে ঋণ দেওয়া হলেও এর বিপরীতে কোনও মর্টগেজ ছিল না। ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই ঋণের ৫ কোটি টাকা দুটি চেকের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের আরেক ঋণগ্রহীতা ওকায়ামা লিমিটেডের আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড ও ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। একই বছরের ১৯ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে ৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের হাল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের একটি হিসাবে স্থানান্তর করা হয়। ওই বছরের ২১ জুলাই এই হিসাব থেকে ৯ কোটি ৪০ লাখ পিকে হালদারের ব্যক্তিগত হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। একই বছরের ২৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি চেক ব্যবহার করে ১১ কোটি ১৪ লাখ টাকা রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে এই অর্থ দিয়া শিপিং লিমিটেডডের নামে একটি ঋণ হিসাবে সমন্বয় করা হয়। এছাড়া রাজীব সোম নামে এক ব্যক্তির শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ব্যক্তিগত হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়।

দুদকের অনুসন্ধান আরও বলছে, আনান কেমিক্যালের শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের একটি লেনদেন বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৫ সালের ১৫ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ১৫ কোটি টাকা ক্লিয়ারিংয়ের মাধ্যমে জমা হওয়ার পর এই অর্থ একই ব্যাংক শাখার মেসার্স বর্ণ, নিউট্রিক্যাল লিমিটেড ও আরবি এন্টারপ্রাইজ নামে তিনটি প্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়া হয়। একই বছরের ১৭ নভেম্বর ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে আরও ৭ কোটি টাকা স্থানান্তরিত হয়, যা পরবর্তী সময়ে ব্যাংকটির সুখাদা লিমিটেডের হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়। অর্থাৎ ঋণের নামে পুরো অর্থ পিকে হালদার তার সহযোগীদের মাধ্যমে বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরিয়ে নিজে আত্মসাৎ ও পাচার করেন।

দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, আনান কেমিক্যালের অমিতাভ অধিকারী হলেন পিকে হালদারের আপন খালাতো ভাই। উজ্জ্বল কুমার নন্দী হলেন পিকে হালদারের পুরনো অফিসের সহকর্মী। অপর দিকে উজ্জ্বল কুমার নন্দী পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান হিসাবে এবং অমিতাভ অধিকারী পিপলস লিজিং পরিচালক হিসাবে ২০১৫ সাল থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন। নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে ঋণের নামে অর্থ আত্মসাৎ করে সেই অর্থ দিয়ে তারা পিপলস লিজিংয়ের চেয়ারম্যান ও পরিচালক হন। পরবর্তী সময়ে একই কায়দায় পিপলস লিজিং থেকে টাকা বের করে প্রতিষ্ঠানটিকে পথে বসিয়েছেন।

সূত্র জানায়, ব্যবসা সম্প্রসারণের কথা বলে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে রেপটাইল ফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৬৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। রেপটাইল ফার্মের চেয়ারম্যান ছিলেন শিমু রায়, এমডি ছিলেন রাজীব সোম। তারা স্বামী-স্ত্রী। এছাড়া পরিচালক হিসেবে ছিলেন মোস্তাসিন বিল্লাহ ও উজ্জ্বল কুমার নন্দী। এই ঋণের পুরো সুবিধাভোগী ছিলেন পিকে হালদার। ঋণের অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের চেক ব্যবহার করে ব্যাংক এশিয়ায় উজ্জল কুমার নন্দী ও অমিতাভ অধিকারীর দুটি হিসাবে আট কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে দুটি হিসাব থেকেই পুরো অর্থ পিকে হালদারের নামে একই ব্যাংক শাখায় পরিচালিত একটি হিসাবে সরিয়ে নেন। এছাড়া ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি চেক ব্যবহার করে ১০ কোটি টাকা রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের একটি হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়।

দুদক বলছে, হাল ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক স্বপন কুমার মিস্ত্রি, ব্যবস্থাপনা পরিচালক অমিতাভ অধিকারী ও পরিচালক সুস্মিতা সাহা হলেও এটি নিয়ন্ত্রণ করতেন পিকে হালদার। ব্যবসা সম্প্রসারণের নামে এই প্রতিষ্ঠান ৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরবর্তী সময়ে তা পিকে হালদারের হিসাবসহ আমারা হোল্ডিংস লিমিটেড, মুন এন্টারপ্রাইজ, ওরিয়াল লিমিটেড, সন্দীপ করপোরেশন, ফ্যাশন প্লাস লিমিটেড ও মেলোডি হোমসের বিভিন্ন হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়।

দুদকের অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, ইন্টারন্যাশাল লিজিং থেকে দেওয়া ঋণের বেশিরভাগের ক্ষেত্রেই কোনও মর্টগেজ ছিল না। অথচ ঋণ হিসাব থেকে সব টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এসব তদারকির কথা ছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের। কিন্তু তারা তদারকি না করে এসব অর্থ আত্মসাতে উল্টো সহায়তা করেছে। এ কারণেই পুরো এই বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার নথিপত্র ও দালিলিক প্রমাণ খোঁজা হচ্ছে।

/জেএইচ/
সম্পর্কিত
এবার বাজেটের আকার কত হচ্ছে, জানালেন ডেপুটি গভর্নর
বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবেন, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
সর্বশেষ খবর
কিশোরগঞ্জে নারীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে র‍্যাব
কিশোরগঞ্জে নারীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করবে র‍্যাব
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে: পরশ
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্র রাজপথে মোকাবিলা করতে হবে: পরশ
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন রুখতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান এবি পার্টির
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন রুখতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান এবি পার্টির
‘অনিবন্ধিত ওয়েব পোর্টাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়’
‘অনিবন্ধিত ওয়েব পোর্টাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়’
সর্বাধিক পঠিত
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
যাত্রীর জামাকাপড় পুড়িয়ে পাওয়া গেলো সাড়ে চার কোটি টাকার স্বর্ণ
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
৩০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির দাবি তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারীদের
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
সুপ্রিম কোর্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের স্থান পরিদর্শন প্রধান বিচারপতির
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি
আমেরিকা যাচ্ছেন ৩০ ব্যাংকের এমডি