সম্প্রতি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে লন্ডনের মিডলসেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন বরেণ্য সাংবাদিক, কলামিস্ট আবদুল গাফফার চৌধুরী। সেখানে থেকেই তিনি শুনেছেন কন্যা বিনীতা চৌধুরী বিনুর মৃত্যুর সংবাদ। প্রায় ৫০ বছর বয়সী বিনু গত বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকালে লন্ডনের ইউসিএল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তিনি ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
যুক্তরাজ্যে বসবাসরত বাংলাদেশের বর্ষীয়ান সাংবাদিক আবদুল গাফফার চৌধুরীর ঘনিষ্টজন, যুক্তরাজ্য যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামাল খান জানান, ছয় মাস আগে বিনুর ক্যান্সার ধরা পড়লেও অসুস্থ বাবাকে জানতে দেননি তিনি। বাবা জানতে পারেন মৃত্যুর এক সপ্তাহ আগে।
শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ১২টার দিকে প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে জামাল বলেন, বিনু গাফফার চৌধুরীর পিতৃভক্ত কন্যা। বাবার দেখভালের জন্য তিনি নিজের কাজ পেশা পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় আজ শুক্রবার ভোর) বিনীতা চৌধুরী বিনুর জানাজা বা দাফনের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। গাফফার চৌধুরীর আরেক কন্যা শিক্ষিকা চিনু চৌধুরীকে উদ্ধৃত করে একটি সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, বিনু অবিবাহিত ছিলেন। পেশায় ফিনান্সিয়াল কনসালটেন্ট বিনু বাবা আবদুল গাফফার চৌধুরীর সঙ্গে বসবাস করতেন। ৮৭ বছর বয়সী বাবার সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করতে গিয়ে একসময় নিজের পেশাগত জীবনও ত্যাগ করেন।
আবদুল গাফফার চৌধুরীর পারিবারিক ঘনিষ্টজন, যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক সংগঠক ইয়াসমিন মাহমুদ পলিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাবার খাবার থেকে শুরু করে সবকিছুর খেয়াল রাখতেন এই বিনু। বাবা গাফফার চৌধুরীও বিনুর কথা শুনতেন, বিনুর কথার বাইরে যেতেন না। হাসপাতালের বেডে শুয়ে গাফফার চৌধুরী কাঁদছেন তার আদরের সন্তানকে হারিয়ে। হাসপাতালের বেডে শুয়ে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ফোনে আক্ষেপ করেছেন স্বজনদের সঙ্গে।
এখন পর্যন্ত বিনীতা চৌধুরীর ডেথ সার্টিফিকেট স্বজনরা হাতে পাননি বলে জানান পলিন। তিনি বলেন, ‘গাফফার ভাই অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে।’ তার সন্তানরা তাদের বাবার সুস্থতা ও বোনের রুহের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর দোয়া চেয়েছেন বলেও জানান পলিন।