X
বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

ইভ্যালির মামলায় পক্ষভুক্ত হলেন শামীমা নাসরিন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৬:৪৫আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০২২, ১৭:১৪

জামিনে কারামুক্তির পর ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট মামলায় প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে পক্ষভুক্ত করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলায় তাকে ১৫ নম্বর বিবাদী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির আদেশ দেওয়া হয়েছে।

শামীমা নাসরিনের আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে শামীমা নাসরিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শামীম মেহেদী। রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।

পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, জামিনে মুক্তির পর ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে করা রিট মামলায় পক্ষভুক্ত হতে আবেদন জানিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন।

তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন, কোম্পানিতে যে ৫০ শতাংশ শেয়ার ছিল, তার ২০ শতাংশ শেয়ার এরইমধ্যে তিনি তার মা এবং বোনের স্বামীর নামে হস্তান্তর করেছেন। যখন এই মামলা দায়ের করা হয়, তখন বিবাদী হিসেবে তিনি ছিলেন না। তাই তাকে যেন এই মামলার বিবাদী গণ্য করা হয়, সেই আবেদন জানানো হয়।

একইসঙ্গে ইভ্যালির সাবেক ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রাসেল আরেকটি আবেদন দায়ের করে বলেন, তার যত শেয়ার আছে তার মধ্যে ২ লাখ শেয়ার তার শ্বশুর বরাবর হস্তান্তর করতে চান। কিন্তু হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কোম্পানি আইনের প্রভিশন হচ্ছে ব্যক্তিকে সশরীরে উপস্থিত থেকে স্বাক্ষর ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিতে হবে। কিন্তু মো. রাসেল এখন কারাগারে। সেহেতু তার পক্ষে সশরীরে আসা সম্ভব নয়। এই আবেদনের বিষয়ে আদালত কোনও আদেশ দেননি বলে জানান ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসাইন।

প্রসঙ্গত, গ্রাহকের করা মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমা কারাগারে যাওয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনার জন্য ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিককে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট।

বোর্ডের অন্য সদস্যরা হলেন, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগের সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল আহসান, ওএসডিতে থাকা আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ফখরুদ্দিন আহম্মেদ, কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ আইনজীবী ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।

আদেশে বোর্ডের কাজ কী সেটাও বলে দেওয়া হয়। কোম্পানির কোথায় কী আছে, সব বুঝে নেবে বোর্ড। কোম্পানি যেভাবে চলে, সেভাবে প্রথমে বোর্ড মিটিং বসবে। এরপর সবকিছু করার পর বোর্ড যদি দেখে কোম্পানিটি চলার যোগ্যতা নেই, তখন অবসায়নের জন্য প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবে। যদি চালানো সম্ভব হয়, তবে কোম্পানিটি চলবে।

/বিআই/এফএ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
হত্যা মামলায় ট্রান্সকম গ্রুপের দুই কর্মকর্তার জামিন
রমনায় বোমা হামলা মামলা: আপিল ও ডেথ রেফারেন্স শুনানি কবে?
পেনফিল্ড স্কুল উচ্ছেদের বিরুদ্ধে রিট: নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির পরামর্শ
সর্বশেষ খবর
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
সুনামগঞ্জে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ
অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের সংশোধনের উপায় কী
অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশু-কিশোরদের সংশোধনের উপায় কী
লেবাননে এক হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
লেবাননে এক হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
সর্বাধিক পঠিত
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন
উৎসব থমকে যাচ্ছে ‘রূপান্তর’ বিতর্কে, কিন্তু কেন