শিশুর সর্বোচ্চ বয়স ১৮ বছর থেকে কমিয়ে আনার প্রস্তাবে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) পরিষদের সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গত ৩ জুলাই অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সাভারে শিক্ষক হত্যাসহ কিশোর অপরাধ বিস্তারের ঘটনা উল্লেখ করে শিশুর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ১৮ বছর থেকে কমানোর সুপারিশ এসেছে বলে জানা যায়। শিশুর বয়স কমানোর এই সুপারিশ সরকার স্বীকৃত শিশুবিষয়ক আন্তর্জাতিক নীতিমালার পরিপন্থী বলে মনে করে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার শিশু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সব সনদ বিচার বিবেচনা করে শিশুর সর্বোচ্চ বয়স ১৮ বছর নির্ধারণ করে শিশুনীতি ২০১১ এবং শিশু আইন ২০১৩ প্রণয়ন করেছে।
এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মতে, শিশুর সার্বিক বিকাশ ও সর্বোচ্চ কল্যাণের দিক বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠু পারিবারিক-সামাজিক পরিবেশ সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চার ব্যবস্থা; মানবিকবোধসম্পন্ন, যুক্তিবাদী বিজ্ঞাননির্ভর সৃজনশীল শিক্ষা এবং বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়া শিশুদের সংশোধনের জন্য সংবেদনশীল প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরি। শিশু-কিশোরদের মারাত্মক ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার পিছনে মূল ব্যক্তিদের শনাক্ত করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার আওতায় আনা প্রয়োজন। শুধু বয়স কমিয়ে শাস্তি প্রদানের মাধ্যমে শিশু-কিশোর অপরাধের মতো জটিল মনো-সামাজিক সমস্যার সমাধান করা যাবে না; বরং এতে বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম বৃদ্ধিসহ নানা সমস্যা আরও প্রকটাকার ধারণ করবে। সরকারের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভার প্রস্তাবে মহিলা পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।