ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ভাঙিয়ে আসামির কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার আইনজীবী মো. জুয়েল মুন্সি সুমনের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এর আগে ১৩ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১২ অক্টোবর ভুক্তভোগী আবিরুল ইসলামের অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আইনজীবী জুয়েল মুন্সি সুমনকে আটক করা হয়।এরপর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মো. আবিরুল ইসলাম চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে যৌতুকের মামলা দায়ের করেন তার স্ত্রী। মামলার পরে গত ২৮ আগস্ট আসামি আবিরুল ইসলামকে আইনজীবী পরিচয়ে ফোন দেন জুয়েল মুন্সি। ফোনে তিনি বলেন, আপনিসহ (আসামি) পরিবারের আরও তিন জনের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করা হয়েছে। মামলায় তিন জনকে বাদ দেওয়া যাবে, এজন্য জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে।
সে কথা অনুযায়ী বনানীর একটি হোটেলে আবিরুল ইসলামের কাছ থেকে নগদ এক লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন আইনজীবী জুয়েল মুন্সি ও মামলা থেকে বাদ দেওয়া ম্যাজিস্ট্রেটের কাগজ সরবরাহ করেন। এরপর ৩০ আগস্ট মামলার ‘দরখাস্তের খরচ’ বাবদ আসামির কাছ থেকে আরও ১৫ হাজার টাকা নেন জুয়েল মুন্সি।
এরপর গত ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলামের আদালত থেকে জামিন করানো ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) ম্যানেজ করে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে মামলাটি স্থায়ী জামিন করানোর কথা বলে আরও ৩ লাখ টাকা নেন ওই আইনজীবী। এছাড়া মামলা নিষ্পত্তির পরে আরও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে বলে জানান।
গতকাল ১২ অক্টোবর মামলাটি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ গঠন শুনানির দিন ছিল। এদিন শুনানির জন্য ২০ হাজার টাকা আসামির কাছ থেকে নেন আইনজীবী। এভাবে জুয়েল মুন্সি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ও শফি উদ্দিনকে টাকা দিতে হবে বলে মোট ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায় আবিরুল ইসলাম সিএমএম আদালতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তাকে আটকের আদেশ দেন।