সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ উদ্যোগে ভূমিকম্প পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার বিষয়ক চার দিনব্যাপী অনুশীলন বুধবার শেষ হয়েছে। এই অনুশীলনে ২৭ দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেয়।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, অনুশীলনের মূল উদ্দেশ্য ছিল—দুর্যোগ মোকাবিলায় জাতীয় প্রস্তুতি বৃদ্ধি, আর্থকোয়াক কনটিনজেনসি প্ল্যান অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে সমন্বয়।
ডিজাস্টার রেসপন্স এক্সারসাইজ অ্যান্ড একচেঞ্জ (ডিআরইই) বাংলাদেশ-২০২২ শীর্ষক অনুশীলনের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
ডিআরইই, বাংলাদেশ-এর জন্য নির্ধারিত উদ্দেশ্যগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চারদিনব্যাপী অনুশীলনে বিভিন্ন সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্ট এক্সচেঞ্জ (এসএমইই) সেশনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দেশি এবং বিদেশি বিশেষজ্ঞরা দুর্যোগ মোকাবিলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করেছেন। ভূমিকম্প আঘাত হানার পরবর্তী পরিস্থিতির আলোকে অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন ফাংশনাল গ্রুপে বিভক্ত করে টেবিল টপ এক্সারসাইজের মাধ্যমে ডিজাস্টার ইনসিডেন্ট ম্যানেজমেন্ট (ডিআইএমটি) এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার অন্যান্য ফ্রেমওয়ার্ককে আরও শক্তিশালী করার চ্যালেঞ্জ এবং তা মোকাবিলার উপায় চিহ্নিতকরণের প্রয়াস নেওয়া হয়েছে।
তাত্ত্বিক জ্ঞানকে ব্যবহারিক উপায়ে পরীক্ষণের জন্য ভূমিকম্প মোকাবিলার সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের অংশগ্রহণে বানৌজা শেখ মুজিবে ফিল্ড ট্রেনিং এক্সারসাইজ (এফটিএক্স) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও, প্রথমবারের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে স্থাপিত ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার পরিদর্শন করা হয়েছে যা দুর্যোগ মোকাবিলায় অত্যন্ত সহায়ক হবে।
অনুশীলনটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি বাহিনী ও সংস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, এনজিও, এবং ২৭টি বন্ধুপ্রতিম দেশের প্রতিনিধিসহ (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, তুরস্ক, কানাডা, মঙ্গোলিয়া, লাওস, কেনিয়া, জার্মানি, নিউজিল্যান্ড, সিংগাপুর, ইথিওপিয়া, আর্মেনিয়া প্রভৃতি) সর্বমোট আনুমানিক ৪০০ জন সশরীরে এবং ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যয়নরত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্বেচ্ছাসেবকরাও এই ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন। অনুষ্ঠানে সামরিক/অসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত এবং সামরিক উপদেষ্টা/কূটনীতিক ও দুর্যোগ মোকাবিলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।