X
বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

যাত্রীর সোনার বার নিয়ে চম্পট বিমানবন্দরের কর্মী, এপিবিএনের হাতে ধরা

চৌধুরী আকবর হোসেন
১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:১৩আপডেট : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮:২৬

সৌদি আরব থেকে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে নামেন মো. শহিদুল ইসলাম। তার সঙ্গে ছিল দুটি সোনার বার। তিনি জানতেন না সোনার বারের জন্য শুল্ক কোথায় দিতে হয়। বিমান থেকে নেমে বোর্ডিং ব্রিজের কাছে বিমানবন্দরের দুই কর্মীর কাছে শুল্ক দেওয়ার বিষয়ে সহায়তা চান সৌদি প্রবাসী শহিদুল। তাকে সহযোগিতার কথা বলে বিমানবন্দরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে সোনার বার দুটি নিয়ে পালিয়ে যায় সেই দুই কর্মী।

সোনার বার হারিয়ে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন ওই প্রবাসী। তার অভিযোগের ভিত্তিতে এই দুই কর্মীদের আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড ‍পুলিশ।

জানা গেছে, ৮ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে সৌদি আরব থেকে ঢাকায় আসেন মো. শহিদুল ইসলাম। তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিংগাইরে। বিমান থেকে নেমে নিজের সঙ্গে থাকা দুটি সোনার বারের শুল্ক দেওয়ার বিষয়ে জানতে বিমানবন্দরের ৫ নম্বর বোর্ডিং ব্রিজের কাছে এক কর্মীর কাছে যান তিনি। সেই কর্মীর কাছে শহিদুল বলেন, আমার কাছে দুটি সোনার বার আছে, আমি কোথায় গিয়ে শুল্ক দেবো?

সেই কর্মী আরেকজনকে দেখিয়ে দিয়ে বলেন, ওই ব্যক্তি আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। পরবর্তীতে ওই দুই জন সহায়তার কথা বলে শহিদুলের দুটি সোনার বার নিয়ে নেন। তাকে বিমানবন্দরে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা দুই জন সোনার বার নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে যান। পরে তাদের না পেয়ে শহিদুল ইসলাম বোর্ডিং ব্রিজ এলাকায় ঘুরতে থাকেন। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ সদস্যরা তার কোনও সমস্যার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে পুরো ঘটনা খুলে বলেন এই প্রবাসী।

প্রবাসী শহিদুল ইসলামকে সোনার বার ফেরত দেয় বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রবাসী শহিদুল ইসলামের অভিযোগ পেয়ে আমারা ঘটনার তদন্ত শুরু করি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়।

জানা গেছে, পরে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ৯ জানুয়ারি সেই দুই জনকে বিমানবন্দরে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সোনার বার নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন। পরে তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করলে স্বীকার করেন তারা। 

এই দুই কর্মী হলেন মো. আনোয়ার হোসেন (৪২) ও মো. আবুল কালাম আজাদ (২৬)। তারা দুজন বিমানবন্দরের এয়ারকুলার রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সহকারী ম্যাকানিক হিসেবে কাজ করতেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোনার বার যাত্রীকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।

 

 

/এফএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো যুবকের
খিলগাঁওয়ে রিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার
দুর্নীতির মামলায় বিকল্প ধারার সাবেক মহাসচিব আব্দুল মান্নান কারাগারে
সর্বশেষ খবর
সংরক্ষিত আসনের ১৬ শতাংশ এমপির পেশা রাজনীতি
সংরক্ষিত আসনের ১৬ শতাংশ এমপির পেশা রাজনীতি
ঢাবির সব ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
ঢাবির সব ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
বাংলাদেশের আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
বাংলাদেশের আম-কাঁঠাল-আলু নিতে চায় চীন
শিশু অপহরণ করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করতো চক্রটি
শিশু অপহরণ করে নিঃসন্তান দম্পতির কাছে বিক্রি করতো চক্রটি
সর্বাধিক পঠিত
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
যেভাবে মুদ্রা পাচারে জড়িত ব্যাংকাররা
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
এবার চীনে আগ্রহ বিএনপির
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
আয়বহির্ভূত সম্পদ: সাবেক এমপির পিএস ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
কুড়িগ্রাম আসছেন ভুটানের রাজা, সমৃদ্ধির হাতছানি
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে
রাজধানীর ৫ জায়গায় তরমুজ বিক্রি হবে কৃষকের দামে