সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরির চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলায় সত্যতা না পাওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে ডিবি পুলিশ। এ প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে মামলার বাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী নারাজির আবেদন করেন।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূরের আদালত এ নারাজির আবেদন মঞ্জুর করেন। এবং পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালতের শাহবাগ থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক নিজমুদ্দিন ফকির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০২২ সালের ৪ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পায়নি বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’র ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়। রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’, তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন।