জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন (এনআরসিসি) দেশের নদ-নদীর ৩৭ হাজার দখলদারের যে তালিকা তৈরি করেছিল তা মুছে ফেলা হয়নি বলে দাবি করেছেন নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। বুধবার (২৫ জানুয়ারি) জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, তালিকাটি ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলা নিয়ে গণমাধ্যমে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে সেটি সঠিক নয়। তালিকা সার্ভারে রয়েছে। যাদের কাছে পার্সওয়ার্ড আছে তারা সেটা একসেস করতে পারবেন। পাশাপাশি, এ তালিকা জেলা প্রশাসকদের কাছেও আছে।
নদী রক্ষা কমিশনের ৪৮ নদী সমীক্ষা প্রকল্পের আওতায় ৩৭ হাজার নদনদীর দখলদারদের তালিকা তৈরি করা হয়। এ প্রকল্পটি ২০১৭ সালে শুরু হয় আর শেষ হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা, নদীর ভাঙনরোধসহ দখলদারদের তালিকা তৈরির প্রকল্পটিতে মোট ২৮ কোটি ৬৬ লাখ টাকা খরচ হয় বলে জানা যায়।
এনআরসিসির চেয়ারম্যান বলেন, প্রকল্পটিতে অনেক ভুল-ত্রুটি রয়েছে। আরও যাচাই-বাছাই এর জন্য মন্ত্রণালয়, ডিসিসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আর বিশ্লেষণের পরই আমরা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবো। যেটা এখন পর্যন্ত ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়নি। অনুমোদনের পরই তা প্রকাশ করা হবে।
এনআরসিসির চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, এ প্রকল্পে দখলদারদের তালিকা শুধু পানি আইনের ওপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছিল। এটিকে আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে সংশোধনের জন্য সিদ্ধান্ত আসবে। আমরা ত্রুটি যাচাই-বাছাই করেই তালিকাটি ওয়েবসাইট থেকে প্রকাশ করবো।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, হাইকোর্টের রায়ে সিএস রেকর্ডের ভিত্তিতে অবৈধ দখলদারদের চিহ্নিত করতে বলা হয়েছিল। প্রকল্পে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে পানি আইন ২০১৩-এর ভিত্তিতে। এতে প্রকল্পে চিহ্নিত ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের নাম ও তালিকা কমিশনে দেওয়া প্রতিবেদনে এবং ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। এ কারণে এটি প্রকাশও করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে মনজুর আহম্মেদ বলেন, পানি আইন অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে দখলদার বলা যাবে না। এ কারণে আমরা প্রতিবেদন জমা নেইনি। যেহেতু নদী নিয়ে কাজ করা হয়েছে, তাই বলেছি প্রকল্পের পুরো টাকাটাই নদীতে গেছে।