X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

লেখকের কাজ চিন্তাকে খোঁচা দেওয়া: মাসরুর আরেফিন

জবি প্রতিবেদক
৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:৪৯আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ২২:৫৫

কবি ও কথাসাহিত্যিক মাসরুর আরেফিন বলেছেন, 'লেখকের কাজ কোনও কিছুর সমাধান দেওয়া না। ওইটা অ্যাক্টিভিস্টরা করবেন। অ্যাক্টিভিস্টরা প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন৷ লেখকের কাজ আপনার প্রতিবাদটুকুসহ পুরো সিস্টেমটা উল্টো করে দেখিয়ে দেওয়া। লেখকের কাজ সমাজে যা যা চলে তা উন্মোচিত করা। লেখকের কাজ সমাজকে চিন্তাকে তুলে ধরা করা, সমাজের চিন্তাকে খোঁচা দেওয়া।'

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বাংলা বিভাগের আয়োজনে 'সাহিত্য-শিল্প বিষয়ক আলোচনা' শীর্ষক সেমিনারের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মাসরুর আরেফিন বলেন, 'আমি প্রথাগত বিচারে লেখককেও দেখি না, বইকেও দেখি না। আমাদের এই সভ্যতার শুরু থেকে তাকালে দেখা যাবে সভ্যতার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করেছে আমাদের জ্ঞান। আমরা যেই মুহূর্তে জ্ঞানী হিসেবে নিজেকে মনে করি সেই মুহূর্তে যাদের জ্ঞান নাই তাদেরকে মানুষ বলেই মনে করি না। আমি বইকেও খুব বড় পবিত্র কিছু মনে করি না। বইয়ের ভূমিকা পৃথিবীর সভ্যতার চাকা এগিয়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। বইও শাসকগোষ্ঠীর শাসনের একটা অংশ। আমরা যারা লেখক সিস্টেমেরই অংশ। লেখক প্রতিবাদ করেই হোক, সাপোর্ট করেই হোক, সিস্টেমের মধ্যেই বাস করে। লেখালেখি করতে গেলেই আমরা জনদরদী, মানবদরদী হয়ে যাই। আমি এ ধরনের লেখা লিখতে চাই না। আমি লেখকের মানবতাবাদে বিশ্বাস করি না৷ লেখকের মানবতাবাদ এক ধরনের চ্যারিটি। যিনি জনগণের জন্য লিখলেন, মানুষের জন্য লিখলেন তিনিও এই সিস্টেমেরই অংশ।' লেখকের কাজ চিন্তাকে খোঁচা দেওয়া: মাসরুর আরেফিন

অনুষ্ঠান উদ্বোধকের বক্তব্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সাহিত্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান আরও বিকশিত হবে৷ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য সংসদ আছে, ডিবেটিং সোসাইটি আছে, আবৃত্তি সংসদ আছে। সবগুলোর সমন্বিত প্রয়াসে শিক্ষার্থীদের চেষ্টায় এগিয়ে যাবে বিশ্ববিদ্যালয়।'

মুখ্য আলোচক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, 'একটা সময় বাংলা একাডেমির বইমেলায় প্রাণচাঞ্চল্য থাকতো৷ সেটা এখন নাই। কোথায় যেন একটি অভাব আছে। লেখালেখি করে অনেকেই সুনাম অর্জন করেছেন। কিন্তু লেখকদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক। এখন বইমেলাতে র‍্যাব রাখতে হয় পুলিশ রাখতে হয়। এগুলো একসময় ছিল না।'

অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাবরিন নাহার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ড. চঞ্চল কুমার বোস। এসময় বাংলা বিভাগে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

/এমএস/
সম্পর্কিত
অবন্তিকার আত্মহত্যা: আম্মানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর
নিপীড়ক শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি ভুক্তভোগীর
যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষককে বহিষ্কার
সর্বশেষ খবর
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনা অর্থহীন: ল্যাভরভ
ইউক্রেনের শান্তি পরিকল্পনা অর্থহীন: ল্যাভরভ
বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা চাইলেন ওবায়দুল কাদের
৭ বছর পর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি
৭ বছর পর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়