X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

নজরুল উৎসবে সুরের মুগ্ধতা, পাঠ প্রতিযোগিতায় উদীচী

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৩১আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২২:৩১

ভাষার মাসে চলছে প্রাণের অমর একুশে গ্রন্থমেলা। সপ্তাহের প্রথম ছুটির দিন শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতেও ভিড় দেখা গেছে। যেন আসছে ফাগুনের দখিনা হাওয়ার বার্তা পাচ্ছেন সংস্কৃতিপ্রেমীরা। এদিন সুরে-গানে, নৃত্যের ঝংকার, কবিতা আর পাঠ প্রতিযোগিতায় মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ব্যস্ত এই শহরে।

এদিন বিকালে রাজধানীর গুলশান সোসাইটি লেক পার্কে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী নজরুল উৎসব। সন্ধ্যা থেকে রাত অবধি সুরের ধারা বইয়ে দিয়েছেন এপার বাংলা ও ওপার বাংলার শিল্পীরা। তাদের হৃদয় উচাটন করে গাওয়া গানে মুগ্ধতা ছড়ালো শ্রোতার হৃদয়ে। সংগীত পরিবেশনার সঙ্গে নাচের নান্দনিকতা ও কবিতার ছন্দ যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা। বাংলাদেশ ও ভারতের অর্ধশতাধিক শিল্পীর সম্মিলন ঘটেছে এবারের আসরে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সংগীতের আদি সুর ও বাণী নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে যৌথভাবে এই উৎসবটির আয়োজন করা হয়েছে। নজরুল সংগীত সংস্থা, গুলশান সোসাইটি ও ভারতীয় হাইকমিশন পরিচালিত ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (আইজিসিসি) এই আসরের টাইটেল স্পনসর করেছে এইচএসবিসি ব্যাংক।

উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। স্মারক বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব আহ্বায়ক খায়রুল আনাম শাকিল। আলোচনায় অংশ নেন আইজিসিসির পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী, এইচএসবিসি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মাহবুব উর রহমান, গুলশান সোসাইটির সভাপতি এ টি এম শামসুল হুদা ও কবি নাতনী খিলখিল কাজী।

মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, ‘কবি কাজী নজরুল ইসলামের দর্শন দ্বারা প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এর কারণটি হচ্ছে বাঙালি জাতিসত্তাকে ধারণ করেছিলেন নজরুল। ১৯২৬ সালে কাজী নজরুল ইসলাম রচিত মাঙ্গলিক শিরোনামের কবিতাতেই প্রথম উচ্চারিত হয়েছিল বাংলাদেশ নামটি। সেই সুবাদে বঙ্গবন্ধু ও নজরুলের বাঙালি জাতীয়তাদী ঐক্যের সম্মিলন ঘটেছিল।’

উৎসবের লক্ষ্যটি তুলে ধরে খায়রুল আনাম শাকিল বলেন, ‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই নজরুলের সৃষ্টিকর্ম ও তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে নজরুল সংগীত সংস্থা। আর আমাদের এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো দেশব্যাপী শুদ্ধ, প্রমিত সুর ও বাণীতে নজরুলের সৃষ্টিকর্ম ছড়িয়ে দেওয়া। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় শুদ্ধ সুর ও বাণীতে নজরুলসংগীত প্রশিক্ষণ কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।

উদ্বোধনী আলোচনা শেষে পরিবেশিত হয় ‘একি অপরূপ রূপে মা তোমায় হেরিয়ে পল্লী-জননী...’ গানটি। শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনা পরিবেশিত হয় সমবত নৃত্য। নজরুলের সৃষ্টিসম্ভার থেকে পাঠে  করেন কৌশিক শংকর দাস। সুপ্রিয়া দাশ কণ্ঠে তোলেন খেয়াল। পিউ পিউ বিরহী শীর্ষক সংগীত পরিবেশন করেন মোহিত খান। শারমিন সাথী ময়নার কণ্ঠে ওঠে ‘নয়ন মুদিল কুমুদিনি হায়’। লতিফুন জুলিও শোনান ‘কার বাঁশরী বাজে মুলতানি সুরে’। প্রমিতা দের কণ্ঠে উচ্চারিত হয় ‘ভেসে আসে সুদূর’। ইয়াসমিন মুশতারী শুনিয়েছেন ‘গভীর রাতে জাগি খুঁজি তোমারে’। ফারহানা রহমান কান্তা গেয়েছেন ‘অম্বরে মেঘ মৃদঙ্গ বাজে’।

খিলখিল কাজী পরিবেশন করেন ‘পিয়া গেছে কবে পরদেশ’। ভারতীয় শিল্পী পণ্ডিত তুষার দত্ত কণ্ঠে তোলেন ‘নিশি নিঝুম ঘুম নাহি আসে’। পশ্চিমবঙ্গের আরেক শিল্পী শ্রীরাধা বন্ধ্যোপাধ্যায় ‘আজওু কাঁদে কাননে কোয়েলিয়া’সহ বেশ কয়েকটি সংগীত পরিবেশন করেন। ফেরদৌস আরা গেয়েছেন ‘কেন বাজাও বাঁশী কাল শশী’। শহীদ কবির পলাশ শুনিয়েছেন ‘ওরে নীল যমুনার জল’।

এ ছাড়া পিপ্রয়া গোপ, মৌমিতা হক সেজুঁতিসহ বেশ কয়েকজন শিল্পী সংগীত পরিবেশন করেন। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আসাদুজ্জামান নূর, কৃষ্টি হেফাজসহ কয়েকজন বাচিকশিল্পী। জয় আনন্দ ভৈরব শীর্ষক গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন সুদেষ্ণা স্বয়ম্প্রভা তাথৈ।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টা থেকে শুরু হবে উৎসবের দ্বিতীয় দিনের আয়োজন। এদিন নজরুলসংগীত কোষের নবপর্যায় উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। নবপর্যায়ে ১২৫ জন শিল্পীর কণ্ঠে আদি সুরে রেকর্ড করা নজরুলসংগীত ইউটিউবেও সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

নজরুল উৎসবে সুরের মুগ্ধতা, পাঠ প্রতিযোগিতায় উদীচী

এদিকে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী আয়োজিত রণেশ দাশগুপ্ত জাতীয় পাঠ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণ এবং সেমিনার হয় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত, সুস্থ ধারার সংস্কৃতি চর্চায় আগ্রহী প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে সারা দেশে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করা হয় এদিন।

সেমিনারে ‘প্রগতি সাহিত্যচর্চার বাতিঘর রণেশ দাশগুপ্ত’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান। তার পক্ষে প্রবন্ধটি পাঠ করেন রণেশ দাশগুপ্ত পাঠ প্রতিযোগিতা প্রস্তুতি পরিষদের আহ্বায়ক এবং উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি বেলায়েত হোসেন।

এ ছাড়া আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য সৈয়দ মোহাম্মদ সাহেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক মাসুম, উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সহসভাপতি ড. রতন সিদ্দিকী এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ইয়ুথ কয়্যারের শিল্পী এবং উত্তরপাড়ার সমতট সংস্কৃতির ডিরেক্টর বাসুদেব হুই। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের ‘সুখচর পঞ্চম’ দলের প্রধান মলয় মিত্র। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে।

মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক বদিউর রহমান বলেন, ‘একই সঙ্গে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি এবং রাজনীতি নিয়ে ভাবনাচর্চার এক দৃঢ়-বলিষ্ঠ পথিকৃৎ রণেশ দাশগুপ্ত (১৯১২-১৯৯৭)। এই পথচলায় রণেশ দাশগুপ্ত আলোর পথ দেখিয়েছেন প্রগতির পথে চলমান মানুষদের। উদার মানসিকতা, সামগ্রিক মানবকল্যাণ, সার্বিক মানবমুক্তি, উদার বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গি, শোষণ-বঞ্চনাহীন অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ছিল রণেশ দাশগুপ্তর পথচলার ভিত্তি। সেই ভিত্তি ছিল কঠিন কংক্রিটে গাঁথা। ফলে আমৃত্যু তিনি অবিচল থেকেছেন তার আদর্শিক পথচলায়। আলোর পথে চলেছেন, আর আলো ছড়িয়েছেন, তাই আঁধার হটানিয়া এক আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছেন রণেশ দাশগুপ্ত। আলো খুঁজেওছেন তিনি বিশ্বময়। বিচরণ করেছেন বিশ্বসাহিত্য-সংস্কৃতির ভাণ্ডারে। নির্যাস গ্রহণ করেছেন বিশ্বভাণ্ডারের বিচিত্র সংগ্রহশালা থেকে। মন্থন করেছেন আপন ঐতিহ্যভাণ্ডার। হয়ে উঠেছেন এক ঋদ্ধ ভাণ্ডারী। সমৃদ্ধ সেই ভাণ্ডার উজাড় করে দিয়েছেন ভবিষ্যতের পথে। আলোকচ্ছটায় উজ্জ্বলতর হয়ে উঠেছে সেই আলো-আঁধারী পথ। এ যেন এক ‘আলোর শিখা’। স্বীয় ভাবনা-বিবেচনা-মেধা, সত্যের পথে অবিচল সংগ্রাম আর দৃঢ় প্রত্যয়ে রণেশ দাশগুপ্ত হয়ে উঠেছেন বাঙালির প্রগতির পথে পথচলার মস্তিষ্ক বা ‘নৌস’ যেমনটি এরিস্টটল ছিলেন প্লেটোর একাডেমিতে।’

সেমিনারের পরে, রণেশ দাশগুপ্ত পাঠ প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের মাঝে সনদ এবং পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। এবারের প্রতিযোগিতায় যারা জাতীয়ভাবে ‘ক’ বিভাগে দুজন প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। তারা হলেন রাজশাহীর অরুণিমা ধর এবং জামালপুরের রফাইদা আনজুম আরিয়া।

এই বিভাগে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে যৌথভাবে ৭ জন। তারা হলেন কুমিল্লার তাসনিম মোস্তফা মিফতা ও নওরিন নাওয়ার যুথীকা, খুলনার কথা বৈরাগী ও তিশা দাশ, ময়মনসিংহের মাহুদীইয়া ইসলাম রাইদা, মেহেরপুরের তানজীমা আফরোজা রওজা এবং মাগুরার মৃন্ময়ী রহমান। এ ছাড়া তৃতীয় হয়েছেন নেত্রকোনার আনিফা মহতাসিনা, মেহেরপুরের পূর্ণজ্যোতি পাল ঐশী, সিলেটের সম্বাদি রয় এবং ময়মনসিংহের ফারহান হাসিন নাহিয়ান।

রণেশ দাশগুপ্ত পাঠ প্রতিযোগিতায় ‘খ’ বিভাগে জাতীয়ভাবে প্রথম স্থান পেয়েছেন গাইবান্ধার নুসরাত জাহান নিঝুম। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন নোয়াখালীর রামিসা ইবনাত এবং তৃতীয় হয়েছেন ময়মনসিংহের তানহা তাসনিয়া হোসেন রাা। ‘গ’ বিভাগে প্রথম হয়েছেন রংপুরের তানজিলা তাসনিম অনিমা, দ্বিতীয় হয়েছেন মানিকগঞ্জের অনুশ্রী রাজবংশী এবং তৃতীয় স্থান পেয়েছেন নোয়াখালীর আনিকা ইবনাত। ‘ঘ’ বিভাগে প্রথম হয়েছেন নেত্রকোনার আয়েশা ফাহমিদা, দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন নেত্রকোনার তানজিবা আফরিন  খুকুমনি এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহীর শৌমী আচার্য্য।

এ ছাড়া, ‘ঙ’ বিভাগ তথা উন্মুক্ত বিভাগের প্রতিযোগিতায় জাতীয়ভাবে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন মাগুরার মিশু রাণী বিশ্বাস। দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন বরগুনার রীতা রাণী এবং যুগ্মভাবে তৃতীয় হয়েছেন নেত্রকোনার হাফসা আক্তার এবং মাগুরার কৌশিক শরমা।

উদীচীর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা রণেশ দাশগুপ্তর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় এবারও গত ৭ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১টায় সারা দেশে উদীচীর ৩০টির বেশি জেলা সংসদের উদ্যোগে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পর্যায়ে প্রতিটি বিষয়ভিত্তিক বিভাগের প্রথম তিনজন বিজয়ীকে ১৫ জানুয়ারি রণেশ দাশগুপ্তর ১১১তম জন্মবার্ষিকীতে জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরস্কার দেওয়া হয়। পরে তাদের খাতা পাঠিয়ে দেওয়া হয় উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে। সেগুলো আবারও যাচাই-বাছাই শেষে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিটি বয়সভিত্তিক বিভাগের তিনজন করে বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে। তাদেরই গত ৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয়ভাবে সেমিনারের মাধ্যমে জাতীয়ভাবে পুরস্কৃত করা হয়।

এবারের প্রতিযোগিতায় ৫টি বয়সভিত্তিক বিভাগে অংশ নেয় কয়েক হাজার প্রতিযোগী। এগুলো ছিল তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি (ক বিভাগ), ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি (খ বিভাগ), নবম থেকে দশম শ্রেণি (গ বিভাগ), একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি (ঘ বিভাগ) এবং উন্মুক্ত (ঙ বিভাগ)।

প্রতিযোগিতার জন্য যেসব লেখা নির্বাচন করা হয়, সেগুলো হলো ‘ক’ বিভাগের জন্য সত্যেন সেন রচিত ‘এটম বোমা’ এবং কাজী নজরুল ইসলামের ‘পুতুলের বিয়ে’ নাটক। ‘খ’ বিভাগের জন্য সত্যেন সেনের ‘লালগরুটা’ গল্প এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘পোস্টমাস্টার’ গল্প। ‘গ’ বিভাগের জন্য ছিল রণেশ দাশগুপ্তর ‘মাল্যদান’ গল্প এবং কাজী নজরুল ইসলামের ‘যৌবনের গান’ প্রবন্ধ। ‘ঘ’ বিভাগের জন্য রণেশ দাশগুপ্ত রচিত ‘রহমানের মা’ গল্প এবং সোমেন চন্দ-এর ‘ইঁদুর’ গল্প।

এ ছাড়া ‘ঙ’ বিভাগের জন্য নির্বাচন করা হয় অধ্যাপক বদিউর রহমান রচিত ‘বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন ও গ্রহণ' এবং অধ্যাপক যতীন সরকার রচিত 'বাঙালির লৌকিক ঐতিহ্যে সমাজতান্ত্রিক উপাদান' প্রবন্ধ দুটি। সবগুলো লেখা সংকলন করে ‘মননের পাঠশালা’ নামের একটি বই সারা দেশে উদীচীর জেলা সংসদগুলোর কাছে পাঠানো হয়। সেই বই পাঠ করেই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় প্রতিযোগীরা।

/এমআরএস/এনএআর/
সম্পর্কিত
বইমেলা শেষ, কবে স্বরূপে ফিরবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান?
সাঙ্গ হলো প্রাণের মেলা
বইমেলায় বিক্রি ৬০ কোটি টাকা, দর্শনার্থী ৬০ লাখ
সর্বশেষ খবর
একযুগ পর দলছুট, সঙ্গে সঞ্জীব চৌধুরী
একযুগ পর দলছুট, সঙ্গে সঞ্জীব চৌধুরী
সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করা ব্যক্তির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো বাঘ, নিয়ে গেলো গহীন বনে
সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করা ব্যক্তির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো বাঘ, নিয়ে গেলো গহীন বনে
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন দিলেন এক ব্যক্তি
ট্রাম্পের বিচার চলাকালে আদালতের বাইরে গায়ে আগুন দিলেন এক ব্যক্তি
দুই জনপ্রতিনিধির নাম বলে সাভারে সাংবাদিকের ওপর কেমিক্যাল নিক্ষেপ
দুই জনপ্রতিনিধির নাম বলে সাভারে সাংবাদিকের ওপর কেমিক্যাল নিক্ষেপ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি