সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১১৩৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে পাঁচ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে প্রত্যেকের যাতায়াত খরচ বাবদ অর্থ দেন বিচারক।
বুধবার (১৫ মার্চ) ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এএইচএম হাবিবুর রহমান ভুইয়ার আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) বিমল সমাদ্দার বলেন, এ মামলায় যেসব সাক্ষী অস্বচ্ছল তাদের আদালত ও রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যাতায়াত বাবদ খরচ দেওয়া হয়। আজ পাঁচ সাক্ষীকে এ খরচ দেওয়া হলো।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৮ জুলাই ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। কিন্তু মামলার অভিযোগ গঠনের আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অধিকাংশ আসামি উচ্চ আদালতে আপিল করেন। উচ্চ আদালতের আদালতে আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার পর মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এ মামলায় রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা কারাগারে আটক রয়েছেন। অপর ৪০ আসামি জামিনে রয়েছেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে ধসে পড়ে সাভারের রানা প্লাজা। ভবনের নিচে চাপা পড়েন সাড়ে পাঁচ হাজার পোশাক শ্রমিক। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত ও পঙ্গু হন প্রায় দুই হাজার শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে দুই হাজার ৪৩৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওয়ালী আশরাফ ভবন নির্মাণে অবহেলা ও ত্রুটির কথা উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২৬ এপ্রিল সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার বিজয়কৃষ্ণ কর ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলায় ৫৯৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।