মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু আদিবাকে (৭) ভর্তি করাতে যান বাবা হাবিবুর রহমান। হাসাপাতালে শয্যা না থাকার কথা শুনে চিকিৎসকের সঙ্গে বিতণ্ডার জড়িয়ে গ্রেফতার হন তিনি। এ ঘটনায় বাবা হাবিবুর রহমানকে জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মুগদা থানার উপ-পরিদর্শক মো. আব্দুল মান্নান। এদিন আসামি পক্ষে জামিন চেয়ে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. মোরাদুল আরিফিন (মারুফ)। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমাম ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে মুগদা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সেলিম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী ডা. বনি আমিন এজাহারে বলেন, ‘মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জুলাই ভোরে জরুরি বিভাগে কর্মরত অবস্থায় মো. হাবিবুর রহমান (৩৩) ডেঙ্গু আক্রান্ত বাচ্চাকে নিয়ে জরুরি বিভাগের রুমে প্রবেশ করেন। তখন আমি, নার্স ও উপস্থিত স্টাফরা রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা শিশু হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলি। কারণ, আমাদের হাসপাতালে কোনও সিট খালি ছিলো না। তাই রোগীকে রেফার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা ওনাকে অবহিত করি।’
‘এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে প্রহার করা শুরু করেন ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন। ওনার সঙ্গে ওনার স্ত্রীও আমাদের মারতে উদ্যত হলে ওয়ার্ড বয় জুয়েল এগিয়ে আসলে তাকেও মারা শুরু করেন। এমতাবস্থায় আমি আত্মরক্ষার জন্য রুমের দরজা বন্ধ করে ফেললে, তারা উত্তেজিত হয়ে উপস্থিত নার্স রোজিনাকে মারধর করেন এবং হাসপাতালের দরজা ও জানালায় লাথি মারতে থাকেন। এক পর্যায়ে উনি ভিডিও করা শুরু করেন ও ফেসবুক লাইভে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। পরে পুলিশ ও আনসার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় ও তাদেরকে নিবৃত্তি করে। তাদের হামলায় আমার বাম হাতের ছোট আঙ্গুল ভেঙে যায়। আমার নিচের ঠোঁট ফুলে যায়। ওয়ার্ড বয় জুয়েল ও নার্স রোজিনা আঘাতপ্রাপ্ত হয়।’