বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (স্কুল ও কলেজ) কর্মরত এমপিওভুক্ত ল্যাব সহকারীদের গ্রেড বৈষম্য দূরীকরণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ল্যাব সহকারীদের পদ অনুযায়ী সুনির্দিষ্ট কর্ম নীতিমালা তৈরিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালকসহ (ডিজি) সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি ড. বশির উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদফতরের অধীনে ল্যাবরেটরি সহকারীদের বেতন গ্রেড ১০ম এবং অন্যান্য অধিদফতরে ল্যাব সহকারীদের সর্বনিম্ন বেতন গ্রেড ১৬তম। অন্যদিকে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী, ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৩তম কিন্তু মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের অধীনে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কলেজ পর্যায়ে বিজ্ঞান ও আইসিটি বিভাগে ল্যাব সহকারীদের বেতন গ্রেড ১৮তম। যেখানে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস অনুযায়ী যে পদের বিপরীতে যে গ্রেড তা পেলেও এক্ষেত্রে বঞ্চিত এমপিওভুক্ত এই ল্যাব সহকারীরা।
এছাড়াও ল্যাব সহকারীদের কোনও কর্ম নীতিমালা না থাকায় কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানে ল্যাব সহকারীদের দিয়ে ল্যাবের বাইরেও বিভিন্ন কাজ করানো হয়। অনেক সময় দেখা যায়, এমপিও নীতিমালা অনুসারে ২০তম গ্রেডে কর্মরত কর্মচারীদের যে কাজ, সেই কাজও ১৮তম গ্রেডে কর্মরত ল্যাব সহকারীদের দিয়ে করানো হয়। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে গ্রেড বৈষম্য ও কর্মনীতিমালার দাবি জানিয়ে আসছে কলেজ শাখার এমপিওভুক্ত ল্যাব সহকারীদের সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ ল্যাব সহকারী ঐক্য পরিষদ। তারা মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়, মাউশি এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। এরপরও কোন সমাধান না হওয়ায় সারাদেশের ৬৬ জন ল্যাব সহকারী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।