‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের পরও একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির অভিযোগ বিগত সাড়ে ৮ মাসেও তদন্ত করেনি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি)।’ এ নিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলা ট্রিবিউনে ‘নির্বাহী প্রকৌশলীর দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছে না ইইডি’ শিরোনামে একটি সংবাদটি প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইইডি’র সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল হাসেম সরদার। তিনি বলেছেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দুর্নীতির অভিযোগের পরিসমাপ্তি হয়েছে।’
তবে সংবাদের মূল অংশের কোনও প্রতিবাদ করেননি তিনি। বরং প্রধান প্রকৌশলীকে অভিযুক্ত করে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবুল হাসেম সরদার বলেছেন, ‘দুদকের অভিযোগ পরিসমাপ্তির বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন প্রধান প্রকৌশলী।’
প্রতিবাদে তিনি বলেছেন, ‘প্রতিবেদনে প্রধান প্রকৌশলীর বরাত দিয়ে যে বক্তব্য ছাপা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে— প্রধান প্রকৌশলী মহোদয় দুদকের অভিযোগ পরিসমাপ্তি সংক্রান্ত প্রতিবেদনের কথাটি এড়িয়ে গেছেন। প্রতিবেদনে আমার কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। এছাড়া প্রতিবেদনে আমার কাছে ৩১টি প্রকল্প থাকার এবং ১১টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিযুক্ত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। যা পুরোপুরি মিথ্যা।’
প্রতিবেদকের বক্তব্য
বাংলা ট্রিবিউনের পুরো প্রতিবেদনে দুর্নীতি দমন কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে দুদক ও মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের বাইরে কোনও তথ্য পরিবেশন করা হয়নি। তাছাড়া সংবাদের মূল বিষয় হলো, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের পরও একজন নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে থাকা দুর্নীতির অভিযোগ বিগত সাড়ে ৮ মাসেও তদন্ত করেনি শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতর (ইইডি)।’ এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীর বক্তব্য প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে— এমন তথ্য দিতে পারেননি প্রধান প্রকৌশলী। বরং অভিযোগ তদন্ত করতে দুদককে সহযোগিতার করার কথা বলেছেন তিনি। প্রধান প্রকৌশলী আরও বলেছেন, দুর্নীতি তদন্তের সক্ষমতা নেই তাদের।
প্রতিবেদনে দুদক ও মন্ত্রণালয়ের অভিযোগের তদন্ত না করায় প্রধান প্রকৌশলীর অনীহা বা গাফিলতির বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের আরোপিত তথ্য প্রকাশ করা সহয়নি। বরং পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনস্বার্থে সত্য তুলে ধরেই বাংলা ট্রিবিউনের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: