নাশকতার একটি মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনালের এটিএম আজহারুল ইসলামসহ ১৪৯ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হক আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জগঠনের এ আদেশ দেন। চার্জগঠনের ফলে মামলাটির বিচার অনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।
এ মামলার উল্লেযোগ্য অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন– জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান আমির মোহাম্মাদ শফিকুর রহমান ও মো. রফিকুল ইসলাম খান।
২০১১ সালের এ মামলায় চার্জগঠনের শুনানির সময় এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। চার্জগঠনের পর আবার কারাগারে নেওয়া হয় তাকে।
২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কাকরাইল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. মতিউর রহমান জামায়াত-শিবিরের ১৩০ নেতাকর্মীকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিকালে আসামি এটিএম আজহারের নেতৃত্বে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার নেতাকর্মী জঙ্গী মিছিলসহ লাঠিসোঁটা নিয়ে শান্তিনগর থেকে রাজমনি ক্রসিংয়ের দিকে আসার সময় কাকরাইল সুপার মার্কেটের সামনে পুলিশের ওপর অক্রোমণ করে এবং রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি ভাঙচুর করে।
মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালের ২২ আগষ্ট রমনা থানার এসআই মুাম্মাদ সাইফুল ইসলাম খান জামায়াতের ১৫০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার একজন আসামি পরবর্তী সময়ে মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২২ আগস্ট এটিএম আজহারুল ইসলাম মগবাজারের বাসা থেকে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার হন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। ওই মামলায় ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার ফাঁসির রায় দেয়। ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আপিলে ওই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।