আকাশে উঠলেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন যাত্রীরা। অনেক এয়ারলাইন ফ্লাইটে ইন্টারনেট সুবিধা দিলেও তার জন্য দিতে হয় উচ্চ মূল্যের চার্জ। তবে ব্যতিক্রমভাবে ফ্লাইটে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করবে তার্কিশ এয়ারলাইন্স। ফলে হাজার হাজার মিটার উঁচুতে ভ্রমণের সময়ও পরিবার ও নিকটজনদের সাথে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করার সুযোগ পাবে এয়ারলাইন্সটির যাত্রীরা।
ট্রাভেল এজেন্সির কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তুলে ধরেন তার্কিশ এয়ারলাইন্স ঢাকার জেনারেল ম্যানেজার এমরাহ কারাজা। সম্প্রতি ঢাকার এক পাঁচ তারকা হোটেলে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ঢাকা থেকে সরাসরি ইউরোপ মহাদেশে ফ্লাইট পরিচালনা করছে তার্কিশ এয়ারলাইন্স। ঢাকা থেকে ইউরোপ-আমেরিকা ও কানাডাগামী যাত্রী বেশি পরিবহন করে এয়ারলাইনটি। ফ্লাইটে যাত্রীদের বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে সম্প্রতি।
সংস্থাটির বিক্রয় ও স্টেশন কর্মকর্তা এজাজ কাদরী জানান, ঢাকা থেকে ইস্তানবুল যাত্রায় ন্যূনতম ৮ ঘণ্টা সময় উড়তে হয় যাত্রীদের। এসময়ের মাঝে নিকটজনদের সাথে হোয়াটসআপ জাতীয় ক্ষুদেবার্তা বিনিময় সেবাগুলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারবে তার্কিশ এয়ারলাইন্স যাত্রীরা। এছাড়াও বিজনেস শ্রেণীর যাত্রীরা ১ জিবি পরিমাণ ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহার করতে পারবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কিংবা ল্যাপটপের সাহায্যে তারা এই সেবা উপভোগ করতে পারবেন মাঝ আকাশেই। সেবাটি গ্রহণে ইচ্ছুক যাত্রীদের তার্কিশ এয়ারলাইন্সের মাইলস অ্যান্ড স্মাইলস-এর সদস্য হতে হবে।
এছাড়াও কর্মশালায় তার্কিশ এয়ারলাইন্স ব্যবহারকারীদের জন্য ইস্তানবুলে ফ্রি হোটেল, ফ্রি সিটি টুর ও ফ্রি লিমোজিন ব্যবহারের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।
প্রসঙ্গত, তার্কিশ এয়ারলাইন্স তুরস্কের জাতীয় পতাকাবাহী বিমান সংস্থা। ১৯৩৩ সালে প্রতিষ্ঠিত তুরস্কের পতাকাবাহী বিমান তার্কিশ এয়ারলাইন্স ৪২৮টি বিমানের বহর নিয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ৩৪৪ গন্তব্যে ১২৯ দেশে ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ারলাইনটি। স্টার এলাইয়েন্সের সদস্য তার্কিশ এয়ারলাইন্স পরপর ৬ বার ইউরোপের ১ নাম্বার বিমান পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে।