সরকারি চাকরি থেকে অবসরের তিন বছর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) এমন বিধানের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষ হয়েছে।
চলতি বছরের এ বিষয়ে পৃথক চারটি রিটে জারি করা রুলের ওপর শুনানি শেষে বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ যে কোনও দিন রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তানিয়া আমীর, প্রবীর নিয়োগী ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত।
নির্বাচনে সরকারি চাকরিজীবীদের অযোগ্যতার বিষয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ এর ১২ (১) (চ) ধারায় বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের বা সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের বা প্রতিরক্ষা কর্ম বিভাগের কোনও চাকরি থেকে পদত্যাগ করেছেন বা অবসরে গেছেন এবং এ পদত্যাগ বা অবসর যাওয়ার পর তিন বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।
পরে তিন বছরের এমন বিধান বাতিল চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে আইন মন্ত্রণালয় সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. শামীম কামাল, মো. আব্দুল মান্নান, আতাউর রহমান প্রধান ও রতন চন্দ্র পণ্ডিত নামে চার ব্যক্তি চলতি বছরে পৃথক রিট করেন। ওই রিটে জারি করা চারটি রুলের শুনানি একইসঙ্গে শুরু হয়। গত ৭ নভেম্বর এ রুলের ওপর শুনানি শুরু হয়।