বিএনপির মহাসমাবেশের দিন পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ভাঙচুর এবং অস্ত্র ছিনতাইয়ের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল আতিক বিন কাদেরের আদালত এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানান।
এ সময় আসামিদের পক্ষের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মেজবাহ, হারুন অর রশীদ ভূঁইয়া, কালাম খান, শাকিল আহমেদ, রিপন প্রমুখ জামিন চেয়ে শুনানি করেন। জামিনের বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষ। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুরের আদেশ দেন।
গত ৫ নভেম্বর আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। ৮ নভেম্বর রিমান্ড শেষে আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর বাড্ডায় বোনের বাসা থেকে ডিবি পরিচয়ে কয়েকজন এমরান সালেহ প্রিন্সকে নিয়ে যায় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়।
পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে গত ২ নভেম্বর খিলক্ষেত থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে পল্টন মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের উস্কানি এবং প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত পলাতক আসামিরা পল্টন থানার পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে। পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভাঙে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আসামিরা। জানমালের নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পত্তির রক্ষার্থে তাদের থামাতে গেলে তিন দিক থেকে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় এএসআই এরশাদুল হককে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি মারধর করে তার পিস্তল ও আট রাউন্ড গুলি ভর্তি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন– বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী খান সোহেল, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক এবিএম রাজ্জাক, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক এনাম।