রাজধানীর নিউমার্কেট থানার বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেলসহ ১১ জনের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালত এই আদেশ দেন।
রিমান্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলেন– কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদি হাসান পলাশ, হাজী বাহা উদ্দিন নোবেল, মো. জাকির হোসেন, মো. খন্দকার নজরুল ইসলাম, মো. সুমন, মো. রাকিবুল ইসলাম, মো. নুরুল আমিন পায়েল, মো. কায়কোবাদ হোসেন কবির, মো. লিটন হোসেন ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের আদালতে হাজির করা হয় আজ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জিজ্ঞেসাবাদের জন্য প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তা বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন আসামি পক্ষে আইনজীবীরা। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধীতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষ প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাসহ ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অন্তঘাতমূলক কার্যক্রম চালাতে লিফলেট বিলি করেন আসামিরা। এ সময় নিউমার্কেট থানারা নীলক্ষেত এলাকা থেকে তিন জনকে আটক করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নিউমার্কেট থানারা সোনারগাঁও রোডে প্রাইম প্রিন্টার্সে অভিযান চালিয়ে আরও আট জনকে গ্রেফতার করা হয়।
আবেদনে আরও বলা হয়, আসামিদের কাছ থেকে আনুমানিক ৫০ হাজার লিফলেট, পেট্রোল বোমা তৈরির সরঞ্জাম, বিস্ফোরক জাতীয় উপাদান (গান পাউডার), ১৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল, পাঁচটি অবিস্ফোরিত চকলেট বোমা উদ্ধার করা হয়।
ওই ঘটনায় নিউমার্কেট থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এম মাহবুবুল আলম বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরণে আইনে মামলাটি দায়ের করেন।