প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান সঙ্গে পুলিশের অপরাধ বিভাগ সিআইডির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির সদর দফতরের কনফারেন্স রুমে সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়ার সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সিআইডির সব কার্যক্রমের ওপর একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়। যাতে সিআইডির উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড-যেমন প্রসিকিউশন সেল, সাইবার মানিটরিং সেল, মিডিয়া অ্যানালাইসিস সেন্টার, রেকর্ড ও আর্কাইভ শাখা, মানবপাচার মনিটরিং সেল গঠন, সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম, সাইবার পুলিশ সেন্টার, অর্গানাইজড ক্রাইম, ডিএনএ, ফরেনসিক ল্যাবসহ সকল শাখার কার্যক্রম ও সফলতার বর্ণনা ছিল।
সভায় সালমান এফ রহমান বলেন, একটি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার এবং বিদেশি বিনিয়োগ নির্ভর করে সে দেশের অনুকূল পরিবেশ এবং ‘রুল অব ল’র বাস্তবায়নের ওপর। অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সিআইডির চলমান কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
সিআইডি প্রধান বলেন, সাইবার ক্রাইম, ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম, র্স্বণ-চোরাচালান, মানবপাচার ও মাদকের বিরুদ্ধে সিআইডির অভিযান অব্যাহত আছে। বাংলাদেশে সিআইডি একমাত্র প্রতিষ্ঠান যাদের কার্যক্রম মাদকের খুচরা বিক্রেতা, গ্রহীতা ও বাহকের গ্রেফতারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং গডফাদারদের শনাক্ত করে সম্পৃক্ত অপরাধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা ও তাদের অবৈধ সম্পদ ক্রোক করছে।
তিনি আরও বলেন, স্মার্ট পুলিশ বিনির্মাণে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালার মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যদের পেশাদারি দক্ষতা বৃদ্ধিতে সিআইডি অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করছে। শেষে ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আধুনিক প্রশিক্ষণ ও লজিস্টিকস সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার কাছে সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি জনাব মো. মনিরুল ইসলাম। এছাড়াও ডিআইজি, অতি. ডিআইজি, বিশেষ পুলিশ সুপারসহ সিআইডির বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।