সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ সালের দুই দিনব্যাপী নির্বাচনের ভোট গণনা ও ফলাফল আজ শনিবারই (৯ মার্চ) ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত কমিটি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত ৬ ও ৭ মার্চ সকাল ১০টা থেকে সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনের মিলনায়তনে স্থাপিত ৫০টি বুথে দুই দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মাঝখানে এক ঘণ্টার বিরতি দিয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
এর মধ্যে গত ৬ মার্চ প্রথম দিনে ৩ হাজার ২৬১ জন আইনজীবী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। পরদিন গত ৭ মার্চ দ্বিতীয় দিনে ভোট দেন ২ হাজার ৫৮ জন আইনজীবী। সব মিলিয়ে দুই দিনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৫ হাজার ৩১৯ জন। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৭ হাজার ৮৮৩ জন।
জানা গেছে, ভোটগ্রহণ শেষে গত ৭ মার্চ রাত থেকে ভোট গণনা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সম্পাদক পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথীর সমর্থকদের সঙ্গে নির্বাচন পরিচালনা উপ-কমিটির সদস্যদের মারধর-হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় রাজধানীর শাহবাগ থানায় মামলা হয়। মামলায় স্বতন্ত্র থেকে সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী, বিএনপি প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
গত ৮ মার্চ (শুক্রবার) রাতে মারামারিতে আহত সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর রাতেই বিএনপির ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীসহ মোট পাঁচ আইনজীবী গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল খায়েরের নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। নির্বাচন পরিচালনায় উপ-কমিটিকে সহযোগিতা করছেন ১৫০ জন আইনজীবী।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ইকবাল করিম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান মনির।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেল ও বিএনপি সমর্থিত নীল প্যানেল অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবেও কয়েকজন নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের প্রার্থীরা হলেন, সভাপতি পদে আবু সাঈদ সাগর, সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক, দুই সহ-সভাপতি পদে রমজান আলী শিকদার ও দেওয়ান মোহাম্মদ আবু ওবায়েদ হোসেন সেতু, কোষাধ্যক্ষ পদে মোহাম্মদ নুরুল হুদা আনসারী, দুই সহ-সম্পাদক পদে হুমায়ুন কবির ও হুমায়ুন কবির পল্লব। সাতটি সদস্য পদে সৌমিত্র সরদার রনী, মো. খালেকুজ্জামান ভূঁইয়া, রাশেদুল হক খোকন, মাহমুদা আফরোজ, বেলাল হোসেন শাহীন, খালেদ মোশাররফ রিপন ও রায়হান রনী।
বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত নীল প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা হলেন, সভাপতি পদে এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক পদে মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল), দুই সহ-সভাপতি পদে মো. হুমায়ুন কবির মঞ্জু ও সরকার তাহমিনা বেগম সন্ধ্যা, কোষাধ্যক্ষ পদে মো. রেজাউল করিম, দুই সহ-সম্পাদক পদে মাহফুজুর রহমান মিলন ও মো. আব্দুল করিম। সাতটি সদস্য পদে ফাতিমা আক্তার, সৈয়দ ফজলে এলাহি অভি, মো. শফিকুল ইসলাম শফিক, মো. রাসেল আহমেদ, মো. আশিকুজ্জামান নজরুল, মহিউদ্দিন হানিফ ও মো. ইব্রাহিম খলিল। এই দুই প্যানেলের বাইরে সভাপতি পদে ইউনুছ আলী আকন্দ ও সাবেক অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমান নির্বাচন করছেন।
এছাড়াও সম্পাদক পদে সাদা ও নীল প্যানেলের বাইরে অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী ও ফরহাদ উদ্দিন আহমেদ ভূঁইয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করছেন।