দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস ও চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) এ অভিযান চালানো হয়। একইদিন আরও চারটি সরকারি দফতরে অনিয়মের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চিঠি দিয়েছে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে মঙ্গলবার ছয়টি অভিযোগের বিষয়ে দুটি অভিযান ও চারটি দফতরে চিঠি পাঠিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট সেবা প্রদানে হয়রানির বিভিন্ন অভিযোগ পায় দুদক। এসব অভিযোগে খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক টিমের সদস্যরা প্রথমে পাসপোর্ট অফিসে সেবাগ্রহীতার ছদ্মবেশে অফিসের পাশের বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন। ছদ্মবেশে পর্যবেক্ষণে ওই অফিসের কতিপয় কর্মচারীর সঙ্গে বিভিন্ন কম্পিউটার দোকানদারদের যোগসাজশ আছে প্রতীয়মান হয়। এছাড়াও পাসপোর্ট অফিস এলাকা থেকে একজন দালালকে হাতেনাতে আটক করেন দুদকের সদস্যরা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। অভিযানে পাওয়া তথ্য আমলে নিয়ে খুলনা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক তার দফতরকে দালালমুক্ত করার এবং সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার বিষয়ে দুদক টিমকে অবগত করেন।
অন্যদিকে, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পুঠিবিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জন্মনিবন্ধন সনদ প্রদানে সরকার নির্ধারিত ফি'র অতিরিক্ত অর্থ দাবির অভিযোগ পায় দুদক। এ অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ থেকে আরও একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় দুদকের সদস্যরা ইউনিয়ন অফিস পর্যবেক্ষণ করেন এবং বিভিন্ন সেবা গ্রহণে আগত সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলেন। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও যাচাইয়ে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে টিম কমিশন বরাবর পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।