সাতক্ষীরায় পানি উন্নয়ন বোর্ড ও চট্টগ্রাম বন্দরের ভাণ্ডার শাখায় অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৪ মে) খুলনা ও চট্টগ্রাম দুদকের অফিস থেকে এসব অভিযান চালানো হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম জানান, সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় শিট পাইল ব্যবহারে নানা অনিয়মের অভিযোগ পায় দুদক। অভিযোগ পেয়ে দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও সরেজমিন পর্যবেক্ষণে উক্ত প্রকল্পে ১৪০টি শিট পাইল স্থাপন করার তথ্য পাওয়া যায়। পরবর্তীতে দ্বৈবচয়নের ভিত্তিতে ২টি শিট পাইল উত্তোলন করা হয়। সাতক্ষীরার এলজিইডির দুই জন নিরপেক্ষ প্রকৌশলী দিয়ে পরিমাপ করে পাইলের দৈর্ঘ্য ছয় মিটারের স্থলে তিন মিটার অর্থাৎ স্পেসিফিকেশন হতে কম পাওয়া যায়। এছাড়া ঠিকাদারের প্রতিনিধি ও পাইল শ্রমিকদের বক্তব্য অনুসারে বাকি সব শিট পাইলের দৈর্ঘ্যও ছয় মিটারের স্থলে তিন মিটারের তথ্য পাওয়া যায়। অভিযানের সময় সংগৃহীত সব রেকর্ডপত্র যাচাই করে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরের ভাণ্ডার শাখার সাত কোটি টাকার লোহার স্ক্র্যাপ মাত্র এক কোটি ২১ লাখ টাকায় বিক্রি করে আত্মসাতের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, টেন্ডারের কার্যক্রম শেষ হলেও ঠিকাদারকে মালামাল সরবরাহ করা হয়নি। বন্দরের ভাণ্ডার শাখার ৫টি লটে লোহার স্ক্র্যাপসহ অন্যান্য মালামাল বিক্রির কাগজ ও রেকর্ডপত্রাদি, স্টক রেজিস্ট্রার, মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার এবং স্টক করা মালামাল সরেজমিন পরিদর্শনে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এনফোর্সমেন্ট টিম অভিযোগ সংক্রান্ত মালামালের ওজন পরিমাপ সাপেক্ষে কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।