কুয়েতের দক্ষিণাঞ্চলে শ্রমিকদের একটি আবাসিক ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। পুলিশের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার (১২ জুন) ভোরে মাঙ্গাফ শহরে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কোনও বাংলাদেশি শ্রমিকের নাম পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর এবং হেড অব চ্যানসেরি মো. মনিরুজ্জামান।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করেন। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকেই খোঁজ-খবর নিচ্ছেন, ভবনটিতে কোনও বাংলাদেশি শ্রমিক ছিলেন কিনা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. মনিরুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত কোনও বাংলাদেশি হতাহতের খবর নেই। যে ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, সেখানে মূলত ভারতীয় শ্রমিকরা থাকেন বলে জানা গেছে।’
বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মকর্তারা সেখানে রয়েছেন এবং বিষয়টি তদারকি করছেন। কোনও কিছু জানা গেলে, আমরা আপনাদের জানাবো।’
এদিকে কুয়েতের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে অপর এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘যে ভবনটিতে আগুন লেগেছে, সেটিতে শ্রমিকরা বসবাস করতেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় সেখানে অসংখ্য শ্রমিক ছিলেন। তাদের মধ্যে কয়েক ডজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুর্ভাগ্যবশত ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অনেকের মৃত্যু হয়েছে।’
নিহত শ্রমিকরা কী ধরনের কর্মসংস্থানে কাজ করতেন বা তারা কোন দেশের নাগরিক এ সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানাননি এই পুলিশ কমান্ডার। তিনি বলেন, ‘আবাসনের অত্যধিক কর্মীকে রাখার বিষয়ে আমরা সবসময় সতর্ক করে থাকি।’
ঘটনাস্থল বা হাসপাতালগুলোতে কোনও বাংলাদেশি হতাহতের সংবাদ নেই বলে জানিয়েছেন কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসের মিনিস্টার (শ্রম ও কল্যাণ) মো. আবুল হোসেন।
দুর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটি একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানি। কুয়েতে যেকোনও কোম্পানিতে বাংলাদেশিরা কাজ করলে সেজন্য দূতাবাসের ছাড়পত্র লাগে। আমাদের কাছে তথ্য আছে— এই কোম্পানিতে কোনও বাংলাদেশি কাজ করেন না। কাউকে এমন কোনও ছাড়পত্রও দেওয়া হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘এরপরেও বিভিন্ন হাসপাতালে যেসব আহত ব্যক্তিকে নেওয়া হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশি নার্সদের কাছে আমরা জানতে চেয়েছি। তারা আমাদের জানান যে, আহতদের মধ্যে কোনও বাংলাদেশি নেই। তবে আমরা সজাগ আছি এবং খোঁজখবর করার চেষ্টা করছি।’